রাজধানীর গুলশানের দি গ্রেট কাবাব ফ্যাক্টরিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মোবাইল কোর্ট কর্তৃক দুই লাখ টাকা জরিমানা

অন্যান্য এইমাত্র সারাদেশ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ গতকাল মঙ্গলবার ২৯ মার্চ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীব এর নেতৃত্বে দি গ্রেট কাবাব ফ্যাক্টরি রেস্টুরেন্ট, প্লট নং ৪১, শামসুদ্দিন ম্যানসন (৬ষ্ঠ তলা), গুলশান ২, ঢাকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।


বিজ্ঞাপন

উক্ত অভিযান পরিচালনা কালে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদেশী পণ্যে আমদানিকারকের প্রমাণক নেই, তারিখ বিহীন খাবার ফ্রিজে রাখা হয়েছে, রান্নাঘরের মেঝেতে পানি জমে রয়েছে, বাদামে, জাফরানে, সোডায় লেভেলিং প্রবিধানমালা লঙ্ঘিত, ফায়ার লাইসেন্সের মেয়াদ নেই, পরিবেশ ছাড়পত্র নেই, জেলা প্রশাসক প্রদত্ত নিবন্ধন ও লাইসেন্স নেই, সবার স্বাস্থ্য সনদ নেই, ডাস্টবিন ওপনে রাখা, তেলাপোকার দৌরাত্ম, দুইটি বাংলাদেশী পণ্যে বাংলা লেখা পাওয়া যায়নি।

এ সকল অপরাধে নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী দি গ্রেট কাবাব ফ্যাক্টরি রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ টাকা) জরিমানা প্রদান অনাদায়ে দায়িত্বরত ম্যানেজারকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ম্যানেজার তার অপরাধ স্বীকারোক্তি পূর্বক জরিমানা দিতে চান ও তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়।

দি গ্রেট কাবাব ফ্যাক্টরি রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়।

দি গ্রেট কাবাব ফ্যাক্টরি রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন ও ঘাটতি কাগজ পত্র অতিসত্বর সংগ্রহ করবেন।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গণমাধ্যম কে জানান, “খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সর্বদা কাজ করছে। আর এ ধরনের মোবাইল কোর্ট ও মনিটরিং কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত থাকবে।”

এছাড়া তিনি খাদ্য ও খাদ্য স্থাপনা নিয়ে কারো কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা ৩৩৩ তে কল করে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে বা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে জানাতে নাগরিকদের অনুরোধ করেন।

বিশুদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া প্রত্যেক জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিরাপদ খাদ্য অফিসার (এফএসও) এর নিকটও অভিযোগ করা যাবে।

অভিযানকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ফুড ইনস্পেকটর মোঃ ছানোয়ার হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ আব্দুস সালাম মৃধা, বিএফএসএ এর অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং ব্যাটেলিয়ান আনসার সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্হিত ছিলেন।