ব্লু টয়লেট ঝুঁকি, জানার আছে!

Uncategorized অন্যান্য

মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী ঃ সুস্বাস্থ্যের জন্য সুইমিং! পুকুর দিঘী নদী আর আগের মতো নেই। শখের সাঁতারুদের ভরসা সুইমিং পুল। ঘোলা বা অপরিস্কার ছাড়াও দিঘী নদী বিপজ্জনকও। কিছুদিন আগে আমাদের একজন ডিসিটি দিঘী পাড়ি দিতে গিয়ে মারা যান।

পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ ভেবে আমরা পুলে সাঁতার কাটি। শরীর ঠিক রাখতে সাঁতার অবিকল্প!

যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি এর ওপর একটি গবেষণা করেছে। এর ফলাফল যেমন মজার তেমনি আতংকের। এ নিয়ে অনেকেই নতুন করে ভাবতে ও নিবারক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন। এটাকে বলা হয় ব্লু টয়লেট গবেষণা।

গবেষণায় দেখা গেছে, ছেলে-মেয়ে যাই হোক, সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে গিয়ে প্রতি পাঁচ জনের একজন মনের সুখে পানির মধ্যেই মুত্র বিসর্জন করে! যে কর্মটা পেশাদার সাঁতারুরা করে থাকে শতভাগ! আগেই বলা হয়েছে, এটি মনগড়া কথা নয়, সিডিসি সার্ভেতে উঠে এসেছে তথ্যটি। আর এই জন্য সুইমিং পুলকে বলা হয় ব্লু টয়লেট!

যদিও সুইমিং পুলের সাথেই লাগোয়া টয়লেট থাকে, তবে খুব কম লোকই পানিতে নামার আগে পেশাব সেরে নেয়, অথবা পানিতে নামার পরে পেশাবের চাপ আসলে উঠে টয়লেটে যায়।

অনেকের সুইমিং পুলে গোসলের সময় দেখা যায় চোখ লাল হয়ে যায়, কিংবা হঠাৎ হাঁচি ওঠে। আগে ধারণা করা হতো, পানি পরিষ্কারের জন্য ব্যবহৃত ক্লোরিনের প্রভাবে এটি হয়। কিন্তু সিডিসির এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্লোরিন নয়; এর জন্য দায়ি হলো প্রস্রাব।

লোকজন সুইমিং পুলে নেমে পানিতেই প্রস্রাব করে এবং প্রস্রাবের নাইট্রোজেন ক্লোরিনের সাথে মিশে সায়ানোজেন ক্লোরাইড তৈরি করে। এই সায়ানোজেন ক্লোরাইডই চোখ লাল করে তোলে, নাকে গিয়ে হাঁচি সৃষ্টি করে, এমনকি প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি হলে চামড়াতেও চুলকানির অনুভূতি তৈরি করতে পারে।

এছাড়াও সত্তর শতাংশ লোকই অপরিষ্কার বা ঘর্মাক্ত অবস্থাতেই সুইমিং পুলে নামে। ফলে সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার পর ডায়রিয়ার হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে আসংখ্যাজনক হারে।
তাই ফ্যান্টাসি কিংডম বা সমজাতীয় পানিতে নামার সময়, কিংবা লোভনীয় কোন সুইমিং পুল দেখে ঝাঁপিয়ে পরার আগে খানিক ভেবে দেখবেন অনুগ্রহ করে।

অবশ্যই সাঁতার শরীর চর্চার উৎকৃষ্ট মাধ্যমগুলোর একটি। স্বাস্থ্য অগ্রাধিকার! কভিডযুগের পরের শিক্ষাও।


বিজ্ঞাপন