রাজউকের ৩২টি প্লটের বিভিন্ন অবৈধ দখলের অভিযোগ, দিনাজপুর ফুলবাড়ি শিবনগর ইউপি অফিস ও বরগুনা আমতলী ওহলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে অনিয়ম -দুর্নীতি’র বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান

Uncategorized আইন ও আদালত

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে বৃহস্পতিবার ৭ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৩ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৪ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ রাজধানীর উত্তরার সোনারগাঁ জনপথ সড়কের পাশে উত্তরা ১১ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের আওতায় রাজউকের ৩২টি প্লটের বিভিন্ন অবৈধ দখলের অভিযোগ এবং সরকারি জমিতে গড়ে তোলা মার্কেটের ভাড়া প্রদান করে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগের দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ জাভেদ হাবীব-এর নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক জনাব বিলকিস আক্তার এর সমন্বয়ে একটি টিম বৃহস্পতিবার ২ জুন রাজউক উত্তরা অফিসে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, উত্তরা আবাসিক এলাকার সোনারগাঁও জনপথ রোড এর উভয় পাশে ১৩ ও ১১ নং সেক্টরে মোট ৩০ টি প্লটের বিস্তারিত তালিকা করা রয়েছে যার মধ্যে কিছুসংখ্যক প্লট বরাদ্দকৃত, কিছুসংখ্যক কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় বরাদ্দ বাতিল, কিছুসংখ্যক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি এবং কিছু প্লটের মালিকানা নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। ইতিপূর্বে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি এরূপ কতিপয় প্লটে অবৈধ রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট, ট্রাকস্ট্যান্ড, কভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড, রেন্ট-এ-কার এর দোকান, অবৈধ ফার্নিচার মার্কেট এবং কিছু খালি প্লট রয়েছে। এসকল প্লটের অবৈধ দখল উচ্ছেদ এর জন্য ২০১৮-১৯ সালে রাজউক উচ্ছেদ অভিযান চালালেও কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় অবৈধ দখলদাররা দখল করে বসেন। এ বিষয়ে রাজউক উত্তরা আঞ্চলিক অফিসের উপ-পরিচালক এস্টেট ও ভূমি-২ মোঃ আমিনুল ইসলাম-এর সাথে আলাপকালে জানা যায় যে রাজউকের সাধারণ সভায় এরুপ অবৈধ দখলকৃত প্লটসমূহ নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিক্রয় করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত পরবর্তী কার্যক্রম রাজউক অফিসে চলমান রয়েছে। প্লটসমূহের বর্তমান বরাদ্দ সংক্রান্ত তথ্য, বরাদ্দ গ্রহীতার নাম, মামলা সংক্রান্ত তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং বর্তমান দখল-এর অবস্থা সেক্টরভিত্তিক আলাদা করে তথ্য সংগ্রহপূর্বক দুদক টিম অভিযান পরিচালনা শেষে বিকেল চারটায় প্রধান কার্যালয় ফিরে আসে। এতদসংক্রান্ত বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর উপস্থাপনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, দিনাজপুরের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ৫ (পাঁচ) সদস্যের একটি এনফোর্সমেন টিম ৭ নং শিবনগর ইউনিয়ন পরিষদ, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর এর হিসাব সহকারী, মেহেদী হাসান এর বিরুদ্ধে সেবা গ্রহিতাদের কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধন ফি এবং হোল্ডিং ট্যাক্স ফি বাবদ সরকার নির্ধারিত ফি’র চাইতেও বেশি অর্থ আদায়ের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে। দুদক টিম তখন মেহেদী হাসান, হিসাব সহকারী, ৭ নং শিবনগর ইউনিয়ন পরিষদ এর কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধন ফি বাবদ আদায়কৃত অর্থের রেজিস্টার সহ বিভিন্ন আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধনের এর আবেদন পত্র পর্যালোচনা করে। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু আবেদনকারীর কাছ থেকে টেলিফোনিক যোগাযোগের মাধ্যমে জানতে পারা যায়, উক্ত ব্যক্তি সরকার নির্ধারিত ফি এর চাইতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন বলে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে দুদক টিম তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সতর্ক করে। উল্লিখিত বিষয়ে আরো বিস্তারিত পর্যালোচনা জন্য তার কাছে থেকে আরো কিছু রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। উক্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা শেষে দুদক টিম বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে।

হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, আমতলি, বরগুনা-এর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের পুনর্বাসন ও উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে দুদক, সজেকা, পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক মোঃ আরিফ হোসেন এর নেতৃত্বে আজ আমতলী উপজেলা, বরগুনাতে একটি এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট চলাকালে টিম সরেজমিনে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার ৪নং হলদিয়া ইউনিয়নের ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ না করে বিকাশ একাউন্ট খুলে অর্থ আত্মসাৎ এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানে অতিরিক্ত অর্থ দাবির অভিযোগ যাচাই করা হয়। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ২০২১-২২ অর্থবছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (১ম পর্যায়) শীর্ষক ২ টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭৯ জন উপকারভোগী শ্রমিকের মাধ্যমে ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে মর্মে তালিকা করা হয়েছে। উক্ত তালিকায় থাকা ব্যক্তিদেরকে রকেট একাউন্টের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। অভিযান কালে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির ১৭৯ জন উপকার ভোগীদের তালিকা হতে ১০ জন উপকারভোগীর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র এবং উপকারভোগীর তালিকা যাচাই করার জন্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। অপরদিকে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানে
অতিরিক্ত অর্থ দাবির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন প্রেরণ করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৪টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন