লোহাগড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুস সালামের উপর সন্ত্রাসী হামলা,শিক্ষক সমাজ,নিরব

Uncategorized আইন ও আদালত

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম (৪৭) এর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটলেও অজানা কারনে হামলার ঘটনাটি রয়েছে ধামা চাপা,বেপাকে শিক্ষক সমাজ। জানা যায় গত (২৯ মে) রবিবার দুপুর ১-৩০ মিনিটের সময় লোহাগড়া সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ও শিক্ষকদের অফিস কক্ষে বহিরাগত সন্ত্রাসীসহ শিক্ষক আব্দুস সালামের উপরে দফায় দফায় হামলা করে মৃত-হাবিবুর রহমান মোল্যার ছেলে,সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন (কোচি) (৪৮), এর নেত্রীত্বে বিদ্যালয়ের উত্তর গেট দিয়ে বাদশা কাজীর ছেলে অনিক কাজী (২৫),বাবু কাজীর ছেলে নয়ন কাজী (৩৮),মৃত-হাবীবুর রহমান মোল্যার ছেলে মারুফ (২৫),সিহাব মল্লিক (২৬),পিতা অঙ্গাত,সর্ব-সাং সারুলিয়া,মৃত-বাবু মিয়ার ছেলে ওবাইদুর রহমান (৪৬),মোশারফ হোসেন মোল্যার ছেলে সৌরভ হোসেন মোল্যা (২৮),বাবু মিয়ার ছেলে রুনু (৫২),প্রান্ত (২৩), ও দিগন্ত (১৫) উভয় পিতা-রুনু সর্ব-সাং গোপিনাথপুর,
থানা লোহাগড়া,জেলা নড়াইলসহ আরো ১৫ থেকে ২০ জন অঙ্গাতনামা সন্ত্রাসী’রা আব্দুস সালাম শিক্ষকের উপরে হামলা করে এবং পরে আসামিদের নামে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন,ভুক্তোভোগী শিক্ষক আব্দুস সালাম,যার মামলা নং-২৬/১০২। যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার কাপাশাটি গ্রামের মৃত-আব্দুস সাত্তার শেখ এর ছেলে লোহাগড়া সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করে ক্ষোভের সাথে জানান,একজন শিক্ষক জাতী গড়ার কারীগর,আর সেই শিক্ষকের উপর হামলা করে যার স্বাক্ষী,সৈয়দ আকরাম আলী,লোহাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,নাজমিন বেগম,এস এম হায়াতুজ্জামান,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক,লোহাগড়া সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,রফিকুল ইসলাম (তোতা),অফিস সহায়ক লোহাগড়া সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে মারপিটসহ লাঞ্চিত করে সন্ত্রাসী’রা। আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবং এস এস সি চুড়ান্ত মূল্যায়ন পরীক্ষার বিষয় সংক্রান্তে কথা বলছিলাম। এ সময় সরকারী কাজে বাধাঁ বা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষা এবং এস এস সি চূড়ান্ত মুল্যায়ন পরীক্ষার কাজে বাধাঁ দেওয়ার উদ্দেশে স্কুল ক্যাম্পাসে অনাধিকার প্রবেশ করে এস এস সি পরীক্ষার্থীদের বাশের লাঠি,লোহার রড,টিউব ওয়েলের হাতল দিয়ে উল্টা-পাল্টা মারপিট করতে থাকে। এস এস সি পরীক্ষার্থীদের মারপিট করতে থাকলে আমি বাধাঁ দিয়ে মারপিটের কারন যানতে চাইলে,সাজ্জাদ হোসেন (কোচি) সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিতসহ ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় ও অকার্থ ভাষায় গালীগালাজ করতে থাকলে আমি আইনের প্রতি শ্রোদ্ধাশীল থাকিয়া বিবাদে না গিয়া তাদেরকে এড়িয়ে,আমি প্রধান শিক্ষকের কক্ষে চলে গেলে আবারও সন্ত্রাসী’রা আমার পিছে পিছে সেখানে গিয়ে আমাকে মারপিট করার জন্য লাঞ্চিত ও গালিগালাজ করে এবং আমাকে প্রধান শিক্ষকের টেবিলের উপরে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় এবং ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এহেন কর্মকান্ডে চলমান পরীক্ষার কার্যক্রম বিঘ্নত হয় এবং শিক্ষার্থী’রা এ সন্ত্রাসীদের ভয়ে দিকবেগিক ছুটাছুটি করে। ঘটনার সাথে সাথে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোবাইল ফোনে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং থানার অফিসার ইন্চার্জ,উপজেলা আওয়ামী-লিগের নেত্রীবৃন্দকে দ্রুত বিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ব্যাবস্থা গ্রহন করতে অনুরোধ করেন।
এ শতবর্ষ প্রচীন ঐতিহ্যবাহী লোহাগড়া সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয় পর্যায়ের স্বনামধণ্য প্রতিষ্ঠানে বহিরাগতদের এধরনের হামলায় ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক,কর্মচারী এবং অভিভাবকগণ সকলেই চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলেও জানান। এদিকে এমন নেক্কার জন্য ঘটনার পরে অভিভাবকগণ,সুশিল সমাজ ও শিক্ষক সমাজ লোহাগড়া উপজেলা গেটের সামনে মহা সড়কে এ নেক্কার জনক জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেও হামলাকারীদের আটক করতে পারেনি লোহাগড়া থানা পুলিশ। কি কারনে আসামিগণ,আটক হচ্ছে না বা পুলিশ আসামীদের আটক করছে না,সেটা রয়েছে অজানা। এদিকে,শিক্ষক সমাজ,অভিভাবকগণ ও সুশিল সমাজের দাবি,কেন কিশের জন্য লোহাগড়া উপজেলার সাংবাদিকগণ এ নেক্কার জনক ঘটনার সংবাদ,সংবাদমাধ্যমে প্রচার করলেন না এবং সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হলেও কোন সংবাদ পত্রে এবং টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রচার হলো না,এটা কিশের আভাস,কিশের আলামত,কোন শক্তীবলে শিক্ষকের উপরে হামলার ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হলো বলে গুনজন উঠেছে। ৬নং জয়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো:সাইফুল ইসলাম সুমন জানান,একজন শিক্ষক জাতী গড়ার কারীগর,সেই শিক্ষকদের সাথে অনৈতিক আচারনসহ শিক্ষকদের উপরে হামলার ঘটনায় দেশের শিক্ষক জাতী আজ মর্মাহত,কে বা কাহারা এমন নেক্কার জনক কর্মকান্ড শিক্ষকের সাথে ঘটিয়েছে,আমি তাদের বিচার চাই এবং এসকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এখনি ব্যবস্থা না নিলে প্রতিনিয়তই শিক্ষকগণ লান্চিতসহ সন্ত্রাসীদের হাতে হামলার শিকার হবেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সকল সন্ত্রাসীসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের যোঁর দাবী জানায় বলেও জানান। এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী-লীগের সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দি জানান,সাংবাদিক’রা ন্যায় নিষ্ঠার সাথে সংবাদ প্রচার করবে কিন্তু লোহাগড়া উপজেলার কিছু দূর্নীতিবাজ সাংবাদিক’রা মুচির মেয়ের বিয়ের বিষয়েও কম বয়াস বলে ৫শত বা ১ হাজার টাকা চেয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে সামান্য টাকা হাতিয়ে নিবে বা চাঁদা দাবি করবে,এ কেমন,
সাংবাদিকদের সাংবাদিকতা,এটা কোন সাংবাদিকতা হতে পারে না,অসহায় গরিব মানুষ তাদের মেয়েদের বিবাহে্র জন্য সাধ্যমত ভালো সমন্ধ পেলে মেয়ে বিবাহ্ দিবে এটাই একটি বাবার কর্তব্য বলে মনে করি,সেটা যার মেয়েই হোক না কেন,সেটা আমার বা আপনার মেয়ে হতে পারে এবং একটি মেয়েকে বিবাহ্ দিতে পারলে,একটা বাবার কত বড় দায়ীত্ব শেষ হয়,সেটা একটি অসহায় বাবাই জানে। সাংবাদিক’রা দুর্নীতি অনিয়মের বিষয়ে সংবাদ প্রচার করলে,তাদের স্যালুট জানায় কিন্তু সামান্য গরিব অসহায় মুচির কাছ থেকে ৫শত বা ১ হাজার টাকা নিয়ে বাহাদুরি করা আদো সাংবাদিকতার পরিচয় দেয়া না। লোহাগড়া সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম সাহেবকে সন্ত্রাসী’রা সন্মানহানীসহ হামলা করেছে,তাদের বিরুদ্ধে কেন লোহাগড়া উপজেলার সাংবাদিকগণ সংবাদ প্রচার করলেন না,কেন কিশের জন্য,এটা আমরা লোহাগড়া বাসি ভেবে পাই না,সাংবাদিকদের কলম সকল অনিয়ম,দূর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা উচিৎ বলেও জানান। লোহাগড়া সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এস হায়াতুজ্জামান জানান,আমরা শিক্ষক সকল ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক,আমরা সন্তানদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারি না এবং বলতে পারবো না,আমি চাই,আমার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী’রা সঠিক ভাবে পড়া লেখা করে মানুষের মত মানুষ হোক,এটাই আমার সব চেয়ে বড় চাওয়া ও পাওয়া,সন্তান’রা বাবার সাথে খারাপ ব্যবহার করলে,বাবা’রা কি সন্তানদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে পারে। স্কুলে বহিরাগত কিছু লোক এসে শিক্ষকের সাথে অসন্মানজনক আচারন করায় আমরা মর্মাহত বলেও জানান। লোহাগড়া থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্ত,কে এম তৌফিক আহমেদ টিপু জানান,সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম,লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন,মামলার আসামিগণ পলাতক রয়েছে,আসামিদের আটকের যোঁর চেষ্টা চলছে। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন সাংবাদিক মো:রফিকুল ইসলামকে জানান,লোহাগড়া সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম সাহেব,লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন,মামলার অভিযুক্ত আসামীগণ পলাতক থাকায় আমরা আসামীদের আটক করতে পারিনি কিন্তু আসামিদের আটক করতে আমাদের পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।


বিজ্ঞাপন

এদিকে,লোহাগড়া উপজেলার একাংশ এ ঘটনা ভিন্নখাতে নিয়ে নাম পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক একাধীক ব্যক্তী জানান,একটু তর্কবিতর্ক হয়েছে শিক্ষকের সাথে কিন্তু কোন প্রকার হামলা বা মারধোরের ঘটনা ঘটেনি,এ শিক্ষক স্কুলের শিক্ষার্থী’র গার্ডিয়ানের সাথে অসন্মানজনক ব্যবহার করায় স্কুল ক্যাম্পাসে তর্কবিতর্কের ঘটনা ঘটেছে,মামলার আসামি’রা রাজনীতি শিকার বলেও জানান।


বিজ্ঞাপন

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইল সদর নড়াইল

মোবাইল-01730895060


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *