নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ দুদক প্রধান কার্যালয়ে প্রাপ্ত অভিযোগ ও তদসংশ্লিষ্ট নির্দেশনার প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার ২৮ জুন সকাল সাড়ে ৯ টায় দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক মোঃ রাসেল রনি,মোঃ মাইনউদ্দীন এবং উপ-সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন এর সমন্বয়ে দশমিনা উপজেলা, পটুয়াখালীতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এনফোর্সমেন্ট অভিযান চলাকালে দুদক টিম সরেজমিনে আলিপুর ইউনিয়নের খেজুর গাছের বাধঁ থেকে মোতালেব মৃধা বাড়ির কালভার্ট পর্যন্ত প্যাকেজে ২ কিমি রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণকাজ পরিদর্শন করে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে উক্ত কাজের টেন্ডার ও কার্যাদেশ প্রদান করার পর প্রকল্প সম্পাদনের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও দেখা যায় যে রাস্তার কাজ এখনো চলমান রয়েছে ।
টিমের তৎপরতায় আরো পরিলক্ষিত হয় যে, কালভার্টের দুইপার্শ্বের রাস্তায় ইটের বেড বসানো হলেও ঢালাই দেওয়া হয়নি এবং কালভার্ট নির্মাণকাজ শেষে দুই পার্শ্বের সংযোগ সড়কও পাকা করা হয়নি ।
দশমিনা উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মকবুল হোসেন ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেন রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণে উক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানান যে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে কাজের টেন্ডার ও কার্যাদেশ প্রদান করা হলেও ঠিকাদারের অসহযোগিতা ও অদক্ষতার দরুন নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি ।
বর্তমানে কাজের প্রায় ৭০% সম্পন্ন হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই অবশিষ্ট কাজ শেষ হবে ।
দুদক টীম এর উপস্থিতিতে স্থানীয় জনগণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে সমবেত হয়ে উল্লিখিত নির্মাণকাজের ব্যত্যয়সমূহ এবং ত্রুটিগুলো তুলে ধরেন এবং দুদকের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এর প্রতিকার কামনা করেন।
কালভার্টের ফাটল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৌশলীরা জানান যে; খালের একপাশে খনন করার সময় পার্শ্ববর্তী মাটি দেবে যাওয়ায় গার্ড ওয়ালের যে ফাটল দেখা যায় তা পরবর্তীতে বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নির্দেশনা মোতাবেক আরসিসি ঢালাই দিয়ে গার্ড ওয়াল করা হয়েছে।
অন্যান্য ত্রুটিসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ মেরামত এবং সড়ক ও কালভার্ট ব্যবহার উপযোগী করার জন্য টিম ঠিকাদার এবং প্রকৌশলী দেরকে জোর তাগিদ প্রদান করেন এবং যথাযথ তত্ত্বাবধান এবং মনিটরিংয়ের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য পরামর্শ দেন। অভিযান সম্পন্ন করে টিম সন্ধ্যা ৬ টা ১৫ মিনিটে জেলা কার্যালয়ে ফিরে আসে এবং কর্তৃপক্ষকে প্রাথমিকভাবে সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক যথাযথ বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিশনের নিকট উপস্থাপন করা হবে ।