পিরোজপুরে চলছে শারদীয় দূর্গাপূজার শেষ সময়ের প্রস্ততি

জীবন-যাপন বরিশাল সারাদেশ

পিরোজপুর প্রতিনিধি : শারদীয় দূর্গা পূজার প্রস্তুতি পর্ব প্রায় শেষ। হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দূর্গা উৎসব। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সাজসাজ রব উঠেছে জেলার প্রতিটি মন্দিরে। ভক্তরা অপেক্ষা করছে কাঙ্খিত দিনের। জেলার মধ্যে সবকিছুই ঠিকঠাক মত চলছে। স্থানীয় প্রশাসন বেশ তৎপর নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে। শেষ সময়ে চূড়ান্ত ভাবে নিখুত রঙ্গের কাজ সহ লাইটিং এর মহড়া চলছে খুব দ্রুত গতিতে।
এদিকে জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে একজন বিমল মন্ডল গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, বরাবরের মতই এবার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন বেশ তৎপর নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। পিরোজপুর পৌরসভা ১৭টি সহ ইউনিয়নে ৪৬ টি পূজা মন্ডবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশী মন্ডবে পূজা সম্পন্ন হবে নাজিরপুরে। এখানে ১১৮ মন্ডবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেছারাবাদ উপজেলা। এখানে সর্বোচ্চ ১১৪টি মন্ডবে পূজা সম্পন্ন হবে। এছাড়াও মঠবাডীয়ায় ৮৭, ভান্ডারিয়ায় ৪৩ টি ও ইন্দুকানিতে ২৬ টি মন্ডবে পূজা উৎযাপন হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন কমিটির শীর্ষ নেতা ও পিরোজপুর শাখার সভাপতি বিমল মন্ডল গণমাধ্যমেকর্মীদের বলেন, আমরা এক বছরের জন্য অপেক্ষা করছি, কখন আসবে আমাদের মায়ের আগমনের জন্যই এই প্রস্তুতি চলছে। এদিকে নেছারাবাদ উপজেলার শীর্ষ নেতা ও উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি শশাঙ্ক রঞ্জন সমদ্দার সাংবাদিকদের বলেন, পূজা উপলক্ষে আমাদের প্রত্যাশা পূজাটা যেন সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে উঠতে পারে। উপজেলার সবাইকে নিয়ে যেন শান্তি পূর্ণ ভাবে আনন্দ করতে পারি। তবে ভিন্নকথা বলেছেন মঠবাডীয়ার পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকরা। প্রতি বছর পূজা নিয়ে কিছু কিছু লোক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানি মূলক তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এসব ঘটনার সৃষ্টি না হোক আর এ প্রত্যাশা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে। এদিকে গুয়ারেখা ইউনিয়নের জনপ্রিয় নেতা পল্টু রায় মিডিয়াকে বলেন, জেলাসহ সমগ্র উপজেলার মধ্যে স্বরূপকাঠী উপজেলা পূজা উদযাপন বরাবরই চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করে। দলমত নির্বিশেষে সকলে মিলে আমাদের এলাকায় পূজার আনন্দ উপভোগ করেন।
সর্বশেষ তথ্যমতে ষষ্ঠীর আগের যাবতীয় কাজ প্রায় শেষ বলা যায়। বাকী শুধু আনুষ্ঠানিকতা। তবে জেলার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজও চূড়ান্ত। জেলাসহ সকল উপজেলার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজও শেষ। আনসারসহ প্রশাসনের লোকজন কঠিন দায়িত্ব পালনে তৎপর। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার জেলা মিডিয়াকে বলেন, আমরা প্রস্তুত পূজা উপলক্ষে সকল প্রকার নিরাপত্তার জন্য।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *