!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে ৬ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করা সহ ৪ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ কেরাণীগঞ্জ বিআরটিএ অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে সেবা গ্রহীতার ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ নিয়েও লাইসেন্স প্রদান না করে হয়রানির অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য গতকাল রবিবার ১৬ অক্টোবর, বিআরটিএ অফিস, কেরাণীগঞ্জে দুদক প্রধান কার্যালয় হতে দুই সদস্যের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করেছ। টিম উক্ত কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে অভিযোগ ও তাদের সেবা কার্যক্রম এর সুবিধা অসুবিধার বিষয়ে আলোচনা করে। ২০১৯ সাল হতে লাইসেন্স মডিফিকেশন ডিজিটাল সিস্টেম বন্ধ থাকায় এধরনের অভিযোগ আসছে মর্মে তিনি টিমকে অবহিত করেন। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের পরিবর্তে সাময়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ম্যানুয়ালী স্লিপ দিয়ে আপাতত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে মর্মে তিনি টিমকে জানান। এ বিষয়ে ট্রাফিকসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। অভিযান প্রসঙ্গে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবেন এনফোর্সমেন্ট টিম।
নাটোরের সিংড়া শুকাশ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহকের জমি নামজারি বাবদ সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ দাবি এবং সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম হতে কালিগঞ্জ সড়কের সংস্কার কাজে ঠিকাদার কর্তৃক নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের দুটি আলাদা অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সম্বনিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর তিন সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিম দুটি অভিযান পরিচালনা করেছে।
দুদক টিম সুকাশ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে উপস্থিত হয়ে খাজনা ও নামজারি সংক্রান্ত বিষয়ে সেবাগ্রহিতাদের সাথে আলোচনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
অপর একটি অভিযানে টিম উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়, সিংড়া, নাটোর হতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে। টিম উপস্থিত জনগণের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে পারে।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৪টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।