নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ শনিবার ২২ অক্টোবর অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী সাইবার সিকিউরিটি শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের ৩০ জন সাব-ইন্সপেক্টরগণ অংশগ্রহণ করেন।
দিনব্যাপি এ কর্মশালায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস চ্যান্সেলর, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন, লিয়াকত শিকদার, চেয়্যারম্যান, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মোরশেদ আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তরা ডিভিশন), ডিএমপি, ঢাকা, রিসোর্স পার্সন হিসেবে ছিলেন তানভীর হাসান জোহা, সহকারী অধ্যাপক (সিএসই ডিপার্টমেন্ট), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি), ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, অধ্যাপক, সিএসই ডিপার্টমেন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।পুলিশ কমিশনার তার বক্তব্যে ট্রেডিশনাল ক্রাইম এবং সাইবার ক্রাইমের গতি প্রকৃতির বিস্তারিত বিষয়াদি তুলে ধরেন।
সাইবার ক্রাইম কিভাবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাড়াচ্ছে সে বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, অনলাইনে সাইবার হামলার ঝুঁকি মোকাবিলার পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। নিরাপদ থাকতে হলে অনলাইনে পাওয়া তথ্য ভালোভাবে যাচাই করতে হবে।
অনলাইন নিরাপত্তা ব্যক্তিপর্যায় থেকেই শুরু করা উচিত। এ জন্য ই-মেইল বা ফেসবুক পাসওয়ার্ড গোপন রাখার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য বিনিময় করা যাবে না। শুধু তা–ই নয়, সাইবার হামলা থেকে রক্ষা পেতে স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারে হালনাগাদ নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যবহার করতে হবে। শিশু-কিশোরদের অনলাইনে নিরাপদ রাখতে অভিভাবকদের প্যারেন্টাল গাইডলাইন অনুসরণের পরামর্শ দেন তিনি।
উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে সাইবার সংক্রান্ত মামলা তদন্তে আরও দক্ষ ও প্রোঅ্যাক্টিভ হওয়ার পরামর্শ দেন। বিদ্যমান টুলস এবং দক্ষতাকে সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকার কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আপনি যদি পুলিশ না হয়ে সাধারণ জনগণ হতেন তবে পুলিশের কাছে যে সেবা প্রত্যাশা করতেন সেই সেবাটিই দিন।