আজকের দেশ ডেস্ক ঃ ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে।
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ গ্রেপ্তারের আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে, দেশকে শত্রুমুক্ত করতে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অকুতোভয় বীর সেনানীরা মুক্তিকামী সাধারণ জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত আক্রমণ শুরু করেন।
পরবর্তীতে জেনারেল এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় মুজিবনগর সরকার। যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।
আর ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী।
সশস্ত্র বাহিনী গঠনের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর স্থল, জল এবং আকাশ পথে আরো দুর্বার আক্রমণ শুরু হয়। বিজয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ।
এরপর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাদের নিয়ে গড়া মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর প্রায় তিরানব্বই হাজার সেনা আনুষ্ঠানিকভাবে রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে।
এ আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়েই বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন- সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।
সোমবার ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির গভীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছে।