মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
রুপগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী’রা জানান,আমরা বাটুল মজুমদারের দোকানে ব্যবসা করি বলে তার কাছ থেকে ছাড়া আমরা কারো কাছ থেকে মুরগী কিনতে পারি না,বাটুল মজুমদার আমাদের কাছে বেশি দামে মুরগী বিক্রি করে,তাই আমরাও বেশি দামে বিক্রি করি বলেও জানান। নড়াইলের রুপগঞ্জ বাজার ও টার্মিনাল বাজারে একই ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে দুই বাজারে দুই দামে। নড়াইলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগী,এমনটাই জানান,নড়াইল শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল বাজারের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী মো:রফিকুল ইসলাম। নড়াইলের পুরাতন বাস টার্মিনাল বাজারের মো:রফিকুল ইসলাম,নিজের যানবাহনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্রয়লার,লেয়ার,
সোনালী কক,প্যারিন্সসহ বিভিন্ন প্রকার মুরগী ক্রয় করে নড়াইলে পাইকাড়িসহ নিজ দোকানে খুচরা বিক্রি করছে,রুপগঞ্জ বাজার থেকে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিক্রি করছেন,টার্মিনাল বাজারে। (২৩ নভেম্বর) বুধবার টার্মিনাল বাজারের পাইকাড়ি ও খুচরা বিক্রেতা মো:রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,রুপগঞ্জ বাজারে দুইজন পাইকাড়ি মুরগী বিক্রেতা তার মধ্যে বাটুল মজুমদার ও দিলিপ কুন্ডু। বাটুল মজুমদার ও দিলিপ কুন্ডু দুজনে মিলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অধীক দামে মুরগী বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা,ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্থায়ী ব্যবসায়ী’রা। রুপগঞ্জ বাজারের স্থানীয় ব্যবসায়ী’রা যদি অন্য যায়গা থেকে কম দামে মুরগী কিনে দোকানে বিক্রি করে তাহলে বাটুল মজুমদার ও দিলিপ কুন্ডু সেই দোকানদারকে তার দোকান থেকে বের করে দিয়ে অন্য একজন ব্যবসায়ীকে দিয়ে দোকাদারী করান,এমনটাই নিয়ম বাটুল মজুমদার ও দিলিপ কুুন্ডু’র’ বলে জানা যায়। বাটুল মজুমদার ও দিলিপ কুন্ডু’র কাছ থেকে ছাড়া কারো কাছ থেকে রুপগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী’রা মুরগী কিনতে পারবে না। এমন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিক্রি করছে মুরগী বলেও জানান। টার্মিনাল বাজারের মুরগীর দোকানে কাজ করা একাধীক ব্যক্তি জানান,আমরা আগে রুপগঞ্জ মুরগী বাজারে কাজ করতাম। রুপগঞ্জ বাজারে কাস্টমারদের মুরগী কম দেয়ায় অনেক সময় মার খেতে হয়েছে এজন্য ওখান থেকে টার্মিনাল বাজারে এসেছি। এদিকে,রুপগঞ্জ বাজারের বেশির ভাগ দোকানদার কাস্টমারদের মুরগী কম দিয়ে নিজেদের পুজি ঠিক রাখেন। কারন,বাটুল মজুমদার ও দিলিপ কুন্ডু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসা করে আসছে দির্ঘদিন ধরে,মুরগীর দাম বেশি ধরায় দোকানদার’রা এসব করতে ব্যাদ্ধ হয়। এদিকে,বিগত দিনে নড়াইলের সাবেক ম্যাজিষ্ট্রেট মফিজুর রহমান রুপগঞ্জ বাজারের কিছু মুরগী ব্যবসায়ীদের দোকান দেয়ার অনুমতি দেন,সেই থেকে রুপগঞ্জ বাজারে স্থানীয় ব্যবসায়ী’রা বিভিন্ন যায়গা থেকে মুরগী কিনে এনে রুপগঞ্জ বাজারে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তার মধ্যে বাটুল মজুমদারের একটি খুচরা মুরগীর দোকান ছিল এবং তিনি পাইকারি মুরগির ব্যবসা করতেন কোন রকম,কিন্তু দিলিপ কুন্ডু’র কোন দোকান রুপগঞ্জ বাজারে তৎকালীন সময়ে ছিলো না। পরে বাটুল মজুমদার ও দিলিপ কুন্ডু পাইকাড়ি মুরগী’র ব্যবসা করতে করতে রুপগঞ্জ বাজারের সাবেক পুরাতন ব্যবসায়ী,মশিয়ার,মিলন,লিটন সাহা,রিপন,পিকুলসহ আরো অনেকের কাছে বাকি টাকা পান। পরে বাটুল মজুমদার ও দিলিপ কুন্ডু তাদের পাওনা টাকার জন্য এ সকল ব্যবসায়ীদের থেকে তাদের দোকান ঘর রেখে দেন এবং নিজের নামে সেই সব দোকান পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমান বাটুল মজুমদারের ৭টি দোকান এবং দিলিপ কুন্ডু’র ২টি দোকান রয়েছে। এ বিষয়ে বাটুল মজুমদার জানান,আমি নড়াইল থেকে মুরগী কিনে আমার দোকানদারদের দিয়ে বিক্রি করায়,কেন রুপগঞ্জ বাজার থেকে টার্মিনাল বাজারে মুরগীর দাম কম জবাবে তিনি জানান,আমি বেশি দামে কিনি তাই বেশি দামে বিক্রি করি। বিগত দিনে আমি ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা পেতাম বলে তারা আমাকে তাদের দোকান ঘর আমাকে দিয়ে গেছেন,এবং টার্মিনালের ব্যবসায়ী কোথা থেকে মুরগী কেনে আমি জানি না বলেও জানান তিনি। দিলিপ কুন্ডু জানান,যারা মুরগী মাইকীং করে বিক্রি করে,তারা কম দামে অসুস্থ মুরগী কিনে,কম দামে বিক্রি করে,বছর ভরে কেন টার্মিনাল বাজারে আপনাদের চেয়ে কম টাকায় বিক্রি করে জবাবে তিনি জানান,বছর ভরে দুই বাজারে একই দামে মুরগী বিক্রি হয়,কম বেশিতে বিক্রি হয় না বলেও জানান।