২১ সালে পদ্মা সেতুতে বাস-ট্রেন চলবে: সেতুমন্ত্রী

এইমাত্র জাতীয় রাজধানী রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করেনি তাতে কি হয়েছে। আমাদের নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে। বর্তমানে পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৭৪ ভাগ। ২০২১ সালের মধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে একই সাথে বাস এবং ট্রেন চলাচল করবে।
তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে বাস এবং ট্রেন একসাথে চলাচল করতে পারবে। ডাবল ডেকারের এই সেতুর উপর দিয়ে চলবে বাস এবং নিচের দিক দিয়ে চলবে ট্রেন। পদ্মা সেতুর কাজ সরেজমিনে দেখতে আমি নিজেই ১৭৯ বার গিয়েছি সেখানে।
রোববার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে ‘ডা.আনোয়ারুল আবেদীন লেকচার সিরিজ’-এর পৃষ্ঠপোষকতায় সড়ক নিরাপত্তা এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সড়কের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, ‘সারাদেশের সড়ক-কে একটি নেটওয়ার্কে নিয়ে আসতে সকল রাস্তাকে চার লেন করা হবে। ঢাকা সিলেট মহাসড়ক এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কেও চার লেন করা হবে। এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোরেলের কাজ এগিয়ে চলছে । তাছাড়া চট্টগ্রামেও আমরা মেট্রোরেল করার কথা ভাবছি। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেলের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। তাছাড়া ঢাকার বাহিরে দশটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করছি। সেগুলোর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন আমরা করে যাচ্ছি, তবে আমাদের সমস্যা হচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলার অভাব।
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঢাকা থেকে মাওয়া এবং মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত যে রোড নির্মাণের কাজ চলছে। এই কাজ শেষ হলে দেখতে পাবেন ইউরোপের রাস্তা কেও হার মানাবে আমাদের এই রাস্তা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে সড়কে বিশৃঙ্খলা জন্য ভোটের রাজনীতি অনেকাংশে দায়ী। এখন রাস্তায় সবাই হেলমেট ব্যবহার করলেও মাঝে মাঝে দেখা যায় কিছু ছেলে দলবেঁধে হেলমেট ছাড়া রাস্তায় চলাচল করছে। এরা আসলে কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী। এরা শৃঙ্খলা মানতে চায় না, জীবনের দিক বিদিক এর কথা ভাবে না।
দুর্ঘটনা কমে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দুর্ঘটনার হার অনেক কমে গেছে। এই অবস্থা আমাদের ধরে রাখতে হবে। রোড ট্রান্সপোর্ট আমার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। যত বাধাই আসুক আমি তা করে যাব। তবে সাধারণ জনগণ যারা আছেন, রাস্তা পার হওয়ার সময় মোবাইল ফোন নিয়ে কথা বলতে বলতে পার হবেন না, তাহলে দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা গাড়ি চাপা দিয়ে দিবে। তাই পথচারীদের সচেতন হতে হবে।
এ সময়ে এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মিসেস নাদিয়া আনোয়ার বলেন, নতুন যে সড়ক আইন হয়েছে, এই আইন অত্যন্ত নিরাপদ সড়কের জন্য। আমরা সকলেই এই আইন মেনে চলবো।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এআইইউবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল হোসেন, ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন ও ডিপি একাডেমী ড. চার্লস সি ভিনালুয়েভাসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *