একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

এইমাত্র জাতীয় রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি গোষ্ঠী চাল নেই, লবণ নেই বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব মোকাবেলা করে আমাদের চলতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। দেশের মানুষ ভালো আছে। তারপরও একটি গোষ্ঠী চাল নেই, লবণ নেই বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মানুষের মধ্যে বিভান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। যাহোক এসব মোকাবেলা করে আমাদের চলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে, প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে, সে লক্ষ্যে আমরা নানা কর্মসূচি গ্রহণ করছি। যাদের ঘর নেই, তাদের ঘর দিচ্ছি। যাদের জমি নেই, তাদের জমি দিচ্ছি। গুচ্ছগ্রাম, আদর্শ গ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে অনেককে পুনর্বাসন করছি।

তিনি বলেন, গরিবের সন্তানরা যেন লেখাপড়া করতে পারে, সেজন্য বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছি। বিনা পয়সায় ছেলে-মেয়েদের বই দেয়া হচ্ছে। আজকের শিক্ষার্থীরা যাতে লেখাপড়া শিখে মানুষ হতে পারে, তারা যেন এ দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারে, সেজন্যই আমরা এ কাজগুলো করছি।

সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা আপনাদের সন্তান, নাতি-পুতিদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলবেন। তারা যেন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারে। দেশকে ভালোবাসতে পারে। যুদ্ধ করে আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি। বাঙালি বীরের জাতি, এ কথা যেন নতুন প্রজন্মের সন্তানরা জানতে পারে। ভবিষৎ প্রজন্ম বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। কারণ, আমরা বীরের জাতি। বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণে বলেন, ‘বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।’

এ ছাড়া দেশের যেখানে গণকবর আছে, সেগুলো চিহ্নিত করতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “যারা এখানে মুক্তিযোদ্ধা আছেন বা মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের আমি একটা অনুরোধ করব। আপনারা আপনাদের ছেলে, মেয়ে, নাতিপুতি অথবা এলাকাবাসী- তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলবেন।”

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করে দেওয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “বিজয়ের ইতিহাস নতুন প্রজন্ম জানবে, বিজয়ী জাতি হিসেবে তাদের মধ্যেও আত্মমর্যাদাবোধ গড়ে উঠবে, মাথা উঁচু করে চলতে তারা শিখবে। কারো কাছে হাত পেতে নয়, আমরা আমাদের নিজেদের সম্পদ দিয়ে নিজেদেরকে গড়ে তুলব। বিশ্বসভায় আমরা মাথা উঁচু করে সম্মানের সাথে চলব।”

মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেখানে যেখানে আমাদের যুদ্ধ হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে, সেই গণহত্যার খবরগুলো খুঁজে বের করা বা যেখানে যেখানে গণহত্যা হয়েছিল, সেই জায়গাগুলো সংরক্ষণ করার চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি।”

শোষণ-বঞ্চনার হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করবার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারা জীবনের সংগ্রামের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরার পাশাপাশি ১৯৭৫ সালে তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার কথাও শেখ হাসিনা বলেন।

“আমাদের দুর্ভাগ্য, এই দেশটাকে যখন তিনি উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমি আমার মা, বাবা, তিন ভাই, ছোটটা ১০ বছরের রাসেল, কামাল জামালের নববধূ, আমার একমাত্র চাচা সবাই.. তারাও কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা ছিল। আমি আর আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম, তাই বলে বেঁচে গিয়েছিলাম।”

এরপর ছয় বছর নির্বাসিত জীবন শেষে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফেরার কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, “তখন থেকে আমার একটাই লক্ষ্য যে আমার বাবার অসমাপ্ত কাজ আমাকে সম্পন্ন করতে হবে। এদেশের মানুষকে অন্তত তাদের ক্ষুধার অন্ন জোগাতে হবে, বাসস্থান দিতে হবে, শিক্ষা দিতে হবে, তাদের উন্নত জীবন দিতে হবে। সেই প্রতিজ্ঞা নিয়েই আমি দেশে ফিরে আসি।

“মানুষ একটা শোক সইতে পারে না, আর আমি সব হারিয়ে আর এই হারানোর বেদনাকে সম্বল করেই… যেহেতু আমার বাবা সারাটা জীবন এ দেশের মানুষের কথা বলেছেন। কাজেই তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।”

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে সারাবিশ্বে সম্মান পেলেও জাতির পিতাকে হত্যার পর সেই সম্মান হারিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতির পিতাকে হত্যার পর সামরিক বাহিনীতে ঘটে যাওয়া হত্যা, ‘ক্যু’ আর ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “যেখানে বারবার ক্যু হয়েছে। আমাদের সামরিক বাহিনীর বহু সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের উপর অত্যাচার হয়েছে, হত্যা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল। জাতির পিতার নামটা পর্যন্ত মুছে ফেলা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “যারা এখানে মুক্তিযোদ্ধা আছেন বা মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের আমি একটা অনুরোধ করব। আপনারা আপনাদের ছেলে, মেয়ে, নাতিপুতি অথবা এলাকাবাসী- তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলবেন।”

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করে দেওয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “বিজয়ের ইতিহাস নতুন প্রজন্ম জানবে, বিজয়ী জাতি হিসেবে তাদের মধ্যেও আত্মমর্যাদাবোধ গড়ে উঠবে, মাথা উঁচু করে চলতে তারা শিখবে। কারো কাছে হাত পেতে নয়, আমরা আমাদের নিজেদের সম্পদ দিয়ে নিজেদেরকে গড়ে তুলব। বিশ্বসভায় আমরা মাথা উঁচু করে সম্মানের সাথে চলব।”

মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেখানে যেখানে আমাদের যুদ্ধ হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে, সেই গণহত্যার খবরগুলো খুঁজে বের করা বা যেখানে যেখানে গণহত্যা হয়েছিল, সেই জায়গাগুলো সংরক্ষণ করার চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি।”

শোষণ-বঞ্চনার হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করবার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারা জীবনের সংগ্রামের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরার পাশাপাশি ১৯৭৫ সালে তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার কথাও শেখ হাসিনা বলেন।

“আমাদের দুর্ভাগ্য, এই দেশটাকে যখন তিনি উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমি আমার মা, বাবা, তিন ভাই, ছোটটা ১০ বছরের রাসেল, কামাল জামালের নববধূ, আমার একমাত্র চাচা সবাই.. তারাও কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা ছিল। আমি আর আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম, তাই বলে বেঁচে গিয়েছিলাম।”

এরপর ছয় বছর নির্বাসিত জীবন শেষে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফেরার কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, “তখন থেকে আমার একটাই লক্ষ্য যে আমার বাবার অসমাপ্ত কাজ আমাকে সম্পন্ন করতে হবে। এদেশের মানুষকে অন্তত তাদের ক্ষুধার অন্ন জোগাতে হবে, বাসস্থান দিতে হবে, শিক্ষা দিতে হবে, তাদের উন্নত জীবন দিতে হবে। সেই প্রতিজ্ঞা নিয়েই আমি দেশে ফিরে আসি।

“মানুষ একটা শোক সইতে পারে না, আর আমি সব হারিয়ে আর এই হারানোর বেদনাকে সম্বল করেই… যেহেতু আমার বাবা সারাটা জীবন এ দেশের মানুষের কথা বলেছেন। কাজেই তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।”

বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে সারাবিশ্বে সম্মান পেলেও জাতির পিতাকে হত্যার পর সেই সম্মান হারিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতির পিতাকে হত্যার পর সামরিক বাহিনীতে ঘটে যাওয়া হত্যা, ‘ক্যু’ আর ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “যেখানে বারবার ক্যু হয়েছে। আমাদের সামরিক বাহিনীর বহু সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের উপর অত্যাচার হয়েছে, হত্যা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল। জাতির পিতার নামটা পর্যন্ত মুছে ফেলা হয়েছিল।”

আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের ইতিহাস ফিরিয়ে আনা হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা করতে পেরেছি, যেটা জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার আমরা করতে পেরেছি। বাংলাদেশের আকাশে যে কালো মেঘটা ছিল, সেটা সরে গিয়ে আমি মনে করি এখন আবার নতুনভাবে যেন বাংলাদেশের মানুষ আলোকিত হয়েছে বিশ্ব দরবারে।” তিনি বলেন, “এখন দাবি করতে পারি, সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ একটা সম্মানের দেশ। সম্মানিত জাতি হিসেবে অন্তত আমরা অবস্থানটা করে নিতে পেরেছি। জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশ বিশ্বে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে।”

মুক্তিযুদ্ধের সাত বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারের সদস্য এবং ১০১ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীরা এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অন্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল অ্যাডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *