নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে টেকনাফ সীমান্ত থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৩ জন মাদক পাচারকারী চক্রের সদস্য আটক হয়েছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
জানা গেছে, বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি যথাযথভাবে বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র আভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় টেকনাফে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ১,১০,০০০ (এক লক্ষ দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৩ জন মাদক কারবারীকে আটক করা হয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গতকাল শুক্রবার ৮ সেপ্টেম্বর, রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ আলুগোলা এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে নাজিরপাড়া বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধী আভিযানিকদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়ীবাঁধে আড়ি পেতে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।
আনুমানিক সাড়ে ১০ টার সময় বিজিবি টহলদল ৫ জন ব্যক্তিকে ২টি প্লাস্টিকের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে নাফ নদী পার হয়ে সীমান্তের শূন্যলাইন অতিক্রম করে আলুগোলা চোরাকাঠি এলাকায় আলী আহমেদের মাছের প্রজেক্টের দিকে আসতে দেখে।
তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীরা তাদের কাঁধে থাকা ব্যাগগুলো ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বিজিবি টহলদল তাদেরকে ধাওয়া করে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং অপর দুইজন নাফ নদীর পার্শ্বে ঘন কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীদের ফেলে দেওয়া ২টি প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর হতে ১,১০,০০০ (এক লাখ দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। পলাতক চোরাকারবারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আটককৃত মাদক পাচারকারীদের নাম ও ঠিকানা যথাক্রমে, মোঃ তাজুল ইসলাম (৫৩), পিতা-মৃত মোহাম্মদ হোসেন, মোঃ সৈয়দ হোসেন (৩৫), পিতা-সোনা আলী এবং মোঃ আবুল কাশেম (৪৫), পিতা-মৃত জকুম বাহার, সকলের গ্রাম-ছোট হাবিবপাড়া, পোস্ট-সাবরাং, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
উল্লেখ্য, আটককৃত ব্যক্তিদেরকে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।