ভিকারুন নেসা নূন, ছবি সংগ্রীহিত।
আজকের দেশ ডেস্ক : ভিকারুণ নিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ এর নামকরণ করা হয়েছে যার নামে, কে এই “ভিকারুন নেসা নুন” ? এই প্রশ্ন টা সবারই মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে কিন্তু উত্তর টা সবার জানা নয়। চিনিনা এমন কেউ নেই, কিন্তু এই “ভিকারুণ নিসা নুন” কে ছিলেন? কেমন ছিলেন? তা অনেকেই জানিনা। “ভিকারুণ নিসা নুন” ছিলেন ফিরোজ খান নুনের স্ত্রী।
“ফিরোজ খান নুন” ছিলেন ১৯৫৭-৫৮ এর সময় পাকিস্তানের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ বছর পর্যন্ত পূর্ব বাংলার গভর্নর ছিলেন। তারপর পরের তিন বছর (১৯৫৩-১৯৫৬) পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ফিরোজ খান নুন বিয়ে করেন ভিক্টোরিয়াকে (ভিকারুণ নিসার পূর্ব নাম)। জন্মগত দিক দিয়ে ভিক্টোরিয়া অস্ট্রিয়ান ছিলেন। বিয়ের পর ভিক্টোরিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ‘ভিকার-উন-নিসা’ নাম পরিবর্তন করেন।
ফিরোজ খানের এর রাজনৈতিক জীবনেরও সক্রিয় সঙ্গী ছিলেন ভিকারুণ নিসা। ফিরোজ খানের সাথে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। ইন্ডিয়ার ভাইসরয়ের মন্ত্রীপরিষদ থেকে পদত্যাগ করে স্ত্রীকে নিয়ে লাহোর চলে আসেন ফিরোজ খান নুন। তারপর ফিরোজ খানের পাশাপাশি সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন ভিকারুণ নিসা। পাঞ্জাবে যখন Civil Disobedience Movement চলছিল, সে সময় লেডি নুন তিনবার গ্রেফতার হওয়ার পরেও দমে যাননি। ব্রিটিশ সমর্থিত খিজরের মন্ত্রীসভার বিরুদ্ধে পুণরায় আন্দোলনকে সংগঠিত করতে সহযোগিতা করেন।
স্বামীর মৃত্যুর পরেও ভিকারুণ নিসা বিভিন্ন সামাজিক সেবা মূলক কাজে জড়িত থাকেন। পূর্ব বাংলার মেয়েদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এই দেশ থেকে যেন মেয়েরা অক্সফোর্ড, ক্যাম্ব্রিজ এর মতো উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য যেতে পারে, সেজন্য চেষ্টা করে যান ভিকারুণ নিসা নুন।
সেই ছোট পরিসরের ভিকারুণ নিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ আজ দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ। প্রত্যেকটা মহৎ কাজের পেছনে কারা ছিলেন সেসব জানার জন্যে আমাদের ইতিহাস পাঠ খুবই জরুরি। (ছবিতে ভিকারুণ নিসা নুন) (ফেসবুক থেকে নেওয়া)