নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের নামাবলী পড়ে গণতন্ত্রের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করছে। এরা গণতন্ত্রকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে দেশে আবারো স্বৈরশাসন কায়েম করতে চায়। এদের সকল ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য হলো আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশকে ধ্বংস করা। এরা আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে বিনষ্ট করতে চায়। সকল জণগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার যে চেষ্টা সে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে তারা দেশে তালিবানি শাসন কায়েম করতে চায়।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ৭৭ তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে (এ ব্লক) নবজাতকদের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যার শুভেচ্ছা উপহার ও প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষাসামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।বিশ্ব দরবারে দেশরত্ন শেখ হাসিনা উন্নয়নের নেত্রী হিসেবে সমাদ্রিত। আজকে যখন বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে ঠিক তখনই বিএনপি-জামাত শেখ হাসিনা সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তারা দেশের ১৬ কোটি মানুষকে বিশ্ব দরবারে অসম্মানিত করতে চায়। এরা দেশের ভিতর ও বাহিরের ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে মিলে তাকে শেষ করার চেষ্টা করছে। এ বিএনপি জামাত ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এখন তারা যে কোন মূল্যে শেখ হাসিনাকে নিঃশেষ করতে চায়।
নাছিম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাজনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে এনেছেন। তিনি দেশের মানুষের অধিকার,ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ১৯৮১ সালে ১৭ই মে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ঐক্যের প্রতীক হিসেবে, বাঙালি জাতির মুক্তির প্রতীক হিসেবে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান।খুনিদের উত্তরাধিকার ও রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ও জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি দেশে ফিরে আসেন। তিনি দেশে ফিরে আসায় আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছি। তিনি সামরিক জান্তাদের হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২১ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছেন। চারণের বেশে দেশের পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি দেশের মানুষকে জাগ্রত করে দেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তার এ দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে তিনি বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন। ২১ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। বাংলার মানুষ খুনীদের সকল চক্রান্তকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। তিনি কোন শক্তির কাছে মাথা নত করেননি। শেখ হাসিনা হলেন সংগ্রামী ও আপসহীন। কিভাবে একটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা যায় তা শেখ হাসিনা জানেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই সোনার বাংলাদেশে আর কখনো যদি কেউ তৃতীয় কোন শক্তির মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যার চেষ্টা করে তাদেরকে আমরা দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করব। তাদের প্রতিহত করার মধ্য দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে পবিত্র সংবিধানকে আমরা সমুন্নত রাখবো।আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল অপশক্তিকে মোকাবেলা করব। আর কাউকে আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে দিবো না। এই বিএনপি জামাতের সকল অপকর্ম ও ধ্বংসের রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বদ্যিালয় এর কোষাধ্যক্ষ এবং বক্ষব্যাধি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
বক্তৃতা করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ সভাপতি ম.আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান স্বপন, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বিটু, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল হক খান সহ কেন্দ্রীয়, জাতীয় ও মহানগর নেকৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যা নেতা কর্মী।