নিজস্ব প্রতিনিধি : সোমবার ২ অক্টোবর বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের সভাকক্ষে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সেবা গ্রহীতার গণশুনানী, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা, তথ্য অধিকার আইন এবং সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মফিজ উদ্দিন আহমাদ, উপপরিচালক (মেট্রোলজি) ও বিভাগীয় অফিস প্রধান, বিএসটিআই, রংপুর। সভায় উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলার প্রতিনিধিত্বকারী ১৪ জন বেকারী মালিক। প্রথমে উপস্থিত সকলকে বিএসটিআই, রংপুর এর প্রস্তুতকৃত বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
বেকারি শিল্পে উৎপাদিত পণ্যের বাস্তবিক সমস্যাসমূহের সমাধান এবং কারখানার স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত অবস্থা উন্নয়ন বিষয়ে আলোকপাত করেন প্রকৌঃ জুনায়েদ আহমেদ, ফিল্ড অফিসার (সিএম)। পন্যসমূহের মোড়ক জাতকরণ বিধিমালা এবং মানসম্মত মোড়ক নিয়ে আলোচনা করেন মোঃ আজিজুল হাকিম, সহকারী পরিচালক (মেট)। বেকারী পণ্যের গুণগতমানের পরীক্ষণ ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা বিষয়ে আলোচনা করেন মোঃ মাহবুবুর রহমান সরকার, সহকারী পরিচালক (রসায়ন)। প্রকৌঃ মোঃ জাহিদুর রহমান, সহকারী পরিচালক (সিএম) এর সঞ্চলনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অংশীজনের অংশগ্রহণে গণশুনানী এবং অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্টেক হোল্ডারগণের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মোঃ সাইফুল্লাহ, স্বত্বাধিকারী হৃদয় এগ্রো লিঃ ও সভাপতি বেকারী মালিক সমিতি, দিনাজপুর বলেন, দিনাজপুর জেলায় তাদের সমিতির তালিকাভুক্ত ৮০টি বেকারী রয়েছে। যাদের বিএসটিআই’র লাইসেন্স আছে। আরও ২২টি অবৈধ কারখানার তালিকা প্রদান করেন। তাদের বিরুদ্ধে আশু ব্যবস্থা গ্রহণসহ দিনাজপুর জেলার ১০২টি বেকারীকে চিঠির মাধ্যমে একত্রিত করে বিএসটিআই’র সকল নিয়ম কানুন অবগত করা এবং সকল বেকারীতে সর্বনিম্ন ফি নির্ধারনের জন্য অনুরোধ জানান।
শামীম শেখ, স্বত্বাধিকারী, মাসুম বেকারী ও সাধারণ সম্পাদক, দিনাজপুর বেকারী মালিক সমিতি বলেন, আমরা আগের তুলনায় বেকারীতে অনেক উন্নয়ন করেছি। ভবিষ্যতে উন্নয়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসাবে ৮০% পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত ব্রান্ডের সাদৃশ্য মোড়ক অনুমোদনের জন্য অনুুরোধ জানান। মোঃ জিয়ারুল হক, স্বত্তাধিকারী, আলামিন বেকারী, ডেট কোডিং এর ক্ষেত্রে বাংলা এর পরিবর্তে ইংরাজি গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।
পরিশেষে সভাপতি দিনাজপুর জেলার বেকারী সমিতির সম্মানিত সদস্যগণকে এ সভায় যোগদান করার জন্য ধন্যবাদ জানান। সভাপতি জানান যে, প্রাপ্ত অবৈধ তালিকা যাচাই করে যত দ্রæত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিএসটিআই’র লাইসেন্স এর ফি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনের উপর নির্ভর করে তাই নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএসটিআই লাইসেন্স এর আবেদনের সময় অস্থায়ী লেবেল গ্রহণ করলেও কিউ আর কোড প্রদানের পর ছাপানো লেবেল জমাদান সাপেক্ষে লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। সাদা প্যাকেটে ভিতরে স্টিকার দিয়ে কোন পন্য বাজারজাত করা যাবে না। প্রতারক চক্রের মিথ্যা প্রলোভনে অনলাইন প্রতারণার শিকার না হওয়ার জন্য উপস্থিত সবাইকে সতর্ক করেন এবং বর্তমানেও বিএসটিআই’র সকল লেনদেন অনলাইন মাধ্যমে হচ্ছে না বলে জানান।
২০৪১ এ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের সকল উন্নয়ন মূলক কাজে কাধে কাধ রেখে এগিয়ে যেতে হবে। ভোক্তার স্বার্থ রক্ষার্থে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। তিনি সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যে লাইসেন্স / সনদপত্র প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করার আহবান জানান।
বিএসটিআই তে আগত সেবাগ্রহীদের প্রতি অন্যায়, বৈষম্যমূলক বা হয়রানিমূলক আচরণ করা যাবে না মর্মে নির্দেশনা প্রদান করেন। স্টেকহোল্ডারদের উন্নয়নের জন্য পরামর্শের প্রয়োজন হলে যোগযোগ করার অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর রংপুর বিভাগীয় অফিসের প্রধান ও উপপরিচালক (মেট্রোলজি) মফিজ উদ্দিন আহমেদ আজকের দেশ ডটকম কে জানান, জাতীয় ও
জনস্বার্থে বিএসটিআই এর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের এ ধরনের মতবিনিময় সভা ও গনশুনানী অব্যাহত থাকবে।