রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী মহানগরীতে একটি নির্দিষ্ট স্হানে স্হায়ী ফল মার্কেটের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী ফল ব্যবসায়ী উন্নয়ন সংস্থা।আজ শনিবার ১৮ নভেম্বর দুপুর ১০টায় নগীর শিরোইল দোশড় মন্ডল মোড়ে অবস্থিত অনুরাগ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত বাৎসরিক সভায় এমন দাবির উত্থাপন করে সংস্থাটির সদস্যরা।
সভায় রাজশাহী ফল ব্যবসায়ী উন্নয়ন সংস্থানের সভাপতি ইলিয়াছ ব্যাপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহীন হোসেন কালু।
এ সময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থাটির প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা মো. গোলাম কিবরিয়া নান্নু, উপদেষ্টা মো. মাসুদ রানা ও উপদেষ্টা আজিবর রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির কোষাধ্যক্ষ মো. সুমন, মো. আলী আকবর সহ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা জানান, রাজশাহী হচ্ছে সবুজ, সুন্দর ও সাজানো গোছানো পরিষ্কার নগরী। এই নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদেরই। আর তাই, আমাদের ফল ব্যবসার কারণে এই নগীরর পরিবেশের যেনো কোনো ক্ষতি না হয় সেদিক দিয়ে আমরা সজাগ। তবে আফসোস এই যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট সহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফল ব্যবসায়ীদের নিজস্ব মার্কেট আছে। নেই শুধু রাজশাহীতেই ।
বক্তারা আর জানান, ২০২০ সালের নভেম্বরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আমাদের জন্য স্হায়ী একটি মার্কেট করে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো কারণে তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। আমাদের প্রাণের দাবি- অতিসত্বে রাজশাহীতে ফল ব্যবসায়ীদের জন্য একটি স্হান নির্ধারণ করে ফল মার্কেট স্হাপন করার, যাতে আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য করে ডালভাত খেয়ে পরিবার নিয়ে বাঁচতে পারি।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ ব্যাপারী বলেন, ২০২০ সালে মাত্র ৩০ জন পাইকারি আড়তদারদের নিয়ে আমরা সংগঠনটি চালু করি। বর্তমানে আমাদের সদস্য সংখ্যা মোট ৫১ জন। আমাদের কাছে থেকে ফল সংগ্রহ করে পুরো রাজশাহী শহরের ব্যবসা করেন প্রায় হাজার খানেক খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ী। কিন্তু দিন দিন নগরীর রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের কারণে আমাদের বসার জায়গা; এমনকি মালামাল লোড-আনলোডের জায়গা নিয়েও সমস্যায় পড়েছি। বর্তমানে ব্যবসা নিয়ে আমরা বেশ সমস্যায় আছি। এমতাবস্থায় আমরা রাসিক মেয়র ও রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে একটি ফল মার্কেট করে দেবার অনুরোধ জানাবো। সম্প্রতি রাসিকে দেড় হাজার কোটি টাকার একটি উন্নয়ন বাজেট ঘোষণা হয়েছে। এই বাজেটে যেনো আমাদের প্রাণের দাবিটিরও দ্রুত বাস্তবায়ন হয় সেই দিকেও যৌথভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করবো আমাদের নগরপিতা ও জেলার অভিভাবক জেলা প্রশাসকের প্রতি।