অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ গ্রহণের দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ডিসেম্বরে সংস্থাটির বোর্ড মিটিংয়ে আইএমএফের শর্তাবলির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে। সম্প্রতি আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর শেষে দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় করার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে পরাশক্তির হস্তক্ষেপে দ্বিতীয় কিস্তি আটকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই)।
গতকাল মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে পিআরআই। এতে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। আর স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক ড. এমএ রাজ্জাক।
মূল বক্তব্যে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আইএমএফের দেয়া বেশকিছু শর্ত পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবু কিছু শর্ত শিথিল করা হয়েছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে তাদের প্রতিনিধি দলের সফরে একটি স্টাফ লেভেল এগ্রিমেন্ট হয়েছে। বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতি মূল্যায়ন করে দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আইএমএফ ইতিবাচক রয়েছে। কিন্তু আমেরিকার মতো পরাশক্তি চাইলে এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে।’
এর আগেও অন্য দেশে এমন হস্তক্ষেপ করা হয়েছিল বলে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন ড. মনসুর। আইএমএফের সাবেক এ কর্মকর্তা নিজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেন, ‘বোর্ড সভার অনুমোদন থাকার পরও সুদানের একটি ঋণ চুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।’
বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটকে নন-ইকোনমিক তিনটি ইস্যু আরো জটিল করে তুলছে বলে মনে করছেন তিনি। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। রাজনীতি ভালো না থাকলে অর্থনীতি ভলো থাকে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে রাজনৈতিক সংকটে এখন আন্তির্জাতিক বিশ্বও যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। আর সম্প্রতি লেবার ইস্যুটি বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা আগামী দিনের রফতানি খাতকে ক্ষতি করতে পারে। তৃতীয়ত, মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিরোধীদের সবাইকে জেলে ভরে প্রশ্নের সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।’