চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিনের কাছে হারে শুরু বাংলাদেশের

এইমাত্র খেলাধুলা জাতীয়

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফুটবলে বাংলাদেশ আর ফিলিস্তিনের পার্থক্যটা কি, তা জানাই ছিল সবার। আজ (বুধবার) শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিই ফেবারিট। আগের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের বাইরে প্রথম ট্রফির স্বাদ পাওয়া দেশটি এবারও দারুণ সূচনা করলো বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে। ২-০ গোলে স্বাগতিকদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের মতোই শুরু করলো ফিলিস্তিন।


বিজ্ঞাপন

২০১৮ সালের বঙ্গবন্ধু কাপের সেমিফাইনালের মতো এবারের টুর্নামেন্ট সূচনা ম্যাচেও ফল এক। হার ২-০ গোলে। ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা দেশটি তাদের ট্রফি ধরে রাখার মিশনটা শুরু করলো দারুণভাবে।


বিজ্ঞাপন

২৯ মিনিটে ফিলিস্তিনের খালেদ সালেম গোল করে এগিয়ে দেন চ্যাম্পিয়নদের। গোল হজমের আগ পর্যন্ত তুলনামূলক বাংলাদেশই প্রাধান্য নিয়ে খেলছিল। শুরু থেকে জামাল ভূঁইয়াদের বল দখলে মরিয়া হতে দেখা গেলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি হালকা মেজাজেই খেলেছে। বাংলাদেশ গোটাতিনেক আক্রমণ করে সফল না হলেও ফিলিস্তিন প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল পেয়ে যায়।

ফিলিস্তিন গোল করে এগিয়ে যায় পাল্টা আক্রমন থেকে। বাম দিকে পাওয়া বল নিয়ে একটু ঢুকে খালেদ সালেম কোনাকুনি শটে গোল করেন।

এর আগে বাংলাদেশ দুটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। সাদ উদ্দিনের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে গেলে এবং তপু বর্মনের শট সাইডনেটে লাগলে সুযোগ নষ্ট হয় স্বাগতিকদের।

ম্যাচে ফেরার চেষ্টা ছিল দ্বিতীয়ার্ধে। কিন্তু পারেনি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আক্রমণভাগে মতিন মিয়ার পরিবর্তে রবিউলকে এবং মধ্যমাঠে মামুনুলের পরিবর্তে সুফিলকে নামিয়ে আক্রমণের ধার বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন কোচ জেমি ডে। কিন্তু অভিজ্ঞ ফিলিস্তিন দ্বিতীয়ার্ধে আরো একটি গোল দিয়ে সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে।

দ্বিতীয় গোলটি সফরকারিরা আদায় করে নেয় ৫৮ মিনিটে। ডান দিক থেকে রেদওয়ানের ক্রস ধরে গোলরক্ষক রানার পাশ দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন লাইথ খারোব।

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৯ জানুয়ারি। তার আগে ফিলিস্তিন তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। উদ্বোধনী ম্যাচে জিতে সেমিফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখলো ফিলিস্তিন।

বাংলাদেশ একাদশ
আশরাফুল ইসলাম রানা, রায়হান হাসান, রহমত মিয়া, তপু বর্মন, ইয়াসিন খান, জামাল ভূঁইয়া, মামুনুল ইসলাম মামুন (সুফিল), সাদ উদ্দিন, মতিন মিয়া (রবিউল), সোহেল রানা ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *