বিশেষ প্রতিবেদক : সরস্বতী পূজার কারণে আবারও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বলছেন, হিন্দুর সম্প্রদায়ের এ দাবির সঙ্গে তারা সম্পূর্ণ একমত। আর বিএনপি প্রার্থীরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের অদূরদর্শিতার কারণেই এ বিতর্ক। নির্বাচনের দিন যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির দায় কমিশনকে নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তারা।
শনিবার বেলা পৌনে বারোটায় যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে নবম দিনের প্রচারণা শুরু করেন দক্ষিণ সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ফজলে নূর তাপস। তার সঙ্গে যোগ দেন কাউন্সিলর প্রার্থী ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সরস্বতী পূজার করণে সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করার এখতিয়ার শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের, মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মতামত নেই। আমি তো প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করছি। এটা নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করবে।
পূজার দিনে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি করেছে উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী। রাজধানীর ফার্মগেট থেকে প্রচারণা শুরু করেন আতিকুল ইসলাম নৌকার পক্ষে। মুজিববর্ষে নৌকার পক্ষে ভোট দিয়ে জাতির পিতাকে সম্মানিত করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, যৌক্তিক তাদের দাবি, আমি তাদের দাবি সমর্থন করি। এবং আমি অনুরোধ করছি নির্বাচন আগে বা পিছিয়ে দিতে।
নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে তাতে কমিশনকেই দায়ী করেছে বিএনপির মেয়রপ্রার্থীরা। জনসন রোডে নবম দিনের প্রচারণায় নেমে সাংবাদিকদের ইশরাক বলেন, জনগণের আকাঙ্খার সঙ্গে যে কমিশন সম্পৃক্ত নয় এমন সিদ্ধান্তে এটিই প্রতীয়মান হলো।
তিনি বলেন, ২০ তারিখে স্বরসতী পূজা রয়েছে তাহলে নির্বাচন কমিশন কেনো বিবেচনায় নিলো না তফসিল ঘোষণার আগে। এখন ব্যবস্থা নিয়ে তারিখ পরিবর্তন করুক।
তাবিথ বলেন, নির্বাচনের তারিখের সম্পূর্ণ দায় হলো প্রধান নির্বাচন কমিশনের। তফসিল ঘোষণার সাথে সাথেই আমরা বলেছিলাম ওই দিন হিন্দুদের পূজা রয়েছে।
এদিন মালিবাগ এলাকা থেকে প্রচারণা শুরু করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।