নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঘন করেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। সেই সঙ্গে মিয়ানমার যে আপত্তি জানিয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন এ আদালত। এছাড়া রোহিঙ্গা গণহত্যার এ মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত।
বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের হেগে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা) রায় পড়া শুরু করেন আদালতের প্রেসিডেন্ট আব্দুল কাওয়াই আহমেদ ইউসুফ।
পঠিত রায়ে বিচারপতিরা আরও বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে মিয়ানমার সরকার। গণহত্যার দায় এরাতে পারে না তারা।
আইসিজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এ রায় ঘোষণা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। রায় ঘোষণায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগবে বলে খবরে জানানো হয়।
আইসিজে রোহিঙ্গা গণহত্যা, সহিংসতা ও নিপীড়নের প্রশ্নে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অন্তর্র্বতী আদেশ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে ১৩ জানুয়ারি গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল আবু বকর এম তাম্বাদুর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে ২৩ জানুয়ারি আইসিজে রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় জরুরি পদক্ষেপ চেয়ে করা মামলার রায় জানাবেন বলে জানান।
গত নভেম্বরে রোহিঙ্গাদের ওপর ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ তুলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এ মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিমপ্রধান দেশ গাম্বিয়া।
এরপর গত ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর ৩ দিনব্যাপী নেদারল্যান্ডসের হেগে ওই মামলার শুনানি হয়। এতে মিয়ানমারের পক্ষে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি অংশ নেন। সে সময় তিনি রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন। ২০১৭ সালে রাখাইনে সেনা অভিযানকালে কিছু সেনা আইন লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন সু চি।
অন্যদিকে গাম্বিয়া মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখা যায় না বলে জানায়। তারা রোহিঙ্গা গণহত্যা ও সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অন্তর্র্বতী নির্দেশে দেয়ার অনুরোধ করে।
২০১৭ সালে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ‘তাতমাদাও’র অভিযানে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।