মামুন মোল্লা (খুলনা) : আজ সোমবার ২২ জানুয়ারি, খুলনা থানাধীন সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ কমিশনার বলেন, আগেকার দিনে বাংলা সনের অগ্রহায়ণ মাসের শেষে যখনি নতুন ধান উঠতো তখন বাঙ্গালির ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব শুরু হতো। তখন আমাদের মা-বোনেরা, নানী-দাদীরা মিলে আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে বাহারি রকমের পিঠা-পুলি তৈরি করতো।
বর্তমান সময়ে বাঙ্গালির শতবর্ষ প্রাচীন পিঠা-পুলি তৈরির এই ঐতিহ্য যখন বর্তমান প্রজন্ম ভুলতে বসেছে তখনি খুলনা ঐতিহ্যবাহী সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পিঠা উৎসবের আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
পিঠা উৎসবের এই চমৎকার আয়োজন করার জন্য সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় সহ যারা আয়োজনের সাথে জড়িত আছেন তাদের প্রত্যেকে অভিনন্দন পুলিশ কমিশনার মহোদয় ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, আজ এই কলেজ প্রাঙ্গণে প্রাণের মেলা জমেছে, সেই মেলায় অংশ নিয়েছে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। ক্ষণিক বিনোদনের মাধ্যমে মানুষে মানুষে গড়ে ওঠা সম্পর্কের বড় প্রয়োজন আজ। বর্তমান প্রজন্ম আজ পিঠা পুলির পরিবর্তে নামিদামি রেস্টুরেন্টর ফাস্টফুডে আসক্ত হয়ে হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে।
আমাদের মা-বোনেরা, নানী-দাদীরা মিলে পিঠা পুলির তৈরি সময় সেগুলোতে তাদের যে স্নেহের পরশ থাকতো ফাস্টফুডে তার বড্ড অভাব। বাঙ্গালির আবহমান সংস্কৃতির অংশ পিঠা উৎসব থেকে আমাদের সন্তানেরা বঞ্চিত হচ্ছে। এজন্য আমাদের সন্তানদেরকে বাঙ্গালি সংস্কৃতিকে ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল ধরণের শ্রেণী বৈষম্যমুক্ত, সাম্যবাদী, উন্নত-সমৃদ্ধ, নিরাপদ, মাদক মুক্ত এবং জঙ্গি-সন্ত্রাসমুক্ত একটি জাতি গঠন করার প্রত্যশা ব্যক্ত করে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি বক্তব্য সমাপ্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ,খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন, সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শেখ মোঃ বদিউজ্জামান, বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত রাশিদা বেগম, পিপিএম-সেবা, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম-সহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা।