ঢাবির নিয়োগ বাণিজ্যের তথ্য ফাঁসে দুই ছাত্রীকে বহিষ্কার!

অপরাধ আইন ও আদালত এইমাত্র শিক্ষাঙ্গন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস করায় দুই ছাত্রীকে বহিষ্কারের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
এদিকে এ ঘটনা তদন্তে গঠিত তিনটি কমিটির মধ্যে একটি কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে। ওই কমিটি রোকেয়া হলে ২১ লাখ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের প্রমাণ পায়নি বলে রিপোর্ট দেয়। তবে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে জানেন না ওই কমিটির সদস্যরা। দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রোকেয়া হলে নিরাপত্তা প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ কয়েকটি পদে নিয়োগের কথা বলে তিন ব্যক্তির কাছ থেকে ২১ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ ওঠে হল ছাত্রলীগ নেত্রী ও হল সংসদের ভিপি ইসরাত জাহান ও জিএস সায়মা প্রমির বিরুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষাথী শ্রবণা শফিক। এমনকি নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে রোকেয়া হলের এক কমচারীর সঙ্গে ওই হলের এজিএস ও ছাত্রলীগ নেত্রী ফাল্গুনী দাসের কথোপকথনেরর অডিও ফাঁস হয়।
এরপরই ঘটনা তদন্তে কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু প্রথম দুই কমিটি এ বিষয়ে কোনো রিপোর্ট না দেয়ায় তৃতীয়বারের মতো কমিটি গঠন করা হয়। ৪ মাসের তদন্ত শেষে প্রশাসন ঘোষণা করে কোনো অনিয়মই হয়নি।
উল্টো অভিযোগকারী ও কথোপকথন ফাঁস হওয়া দুই শিক্ষার্থীকেই হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন বহিষ্কৃত শিক্ষাথীরা। বলছেন অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলাতেই অন্যায়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অন্যদিকে তদন্ত কমিটির সদস্য জানালেন, অভিযোগ প্রমাণ না হওয়াই এমন ব্যবস্থা। তবে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ তদন্ত কমিটি করেছিলেন কিনা তা তার অজানা বলে জানান তিনি।
এদিকে দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ অনিয়মের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করতেই এমন পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *