রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ পৌরসভার কর আদায়কারী বিশ্বজিৎ সরকারের বিরুদ্ধে ২২ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি কর্পোরেট সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজশাহী সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক (রাজশাহী)  :  সরকারি অফিস থেকে পৌর কর আদায় হলেও ২২ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা জমা হয়নি পৌরসভার ফান্ডে। সরকারি ট্রেজারি থেকে বিল করে এই বিপুল পরিমান অর্থ নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভায়। ঐ দপ্তরের কর আদায়কারী শ্রী বিশ্বজিৎ সরকার ৫ বছর যাবত পৌর কর আদায় করে এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।


বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে আত্মসাৎকৃত অর্থ পৌর ফান্ডে ফেরত দেবার জন্য চিঠি দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কাউন্সিলর এমন তথ্য নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।


বিজ্ঞাপন

বিষয়টি নিয়ে কর আদায়কারী শ্রী বিশ্বজিৎ সরকারের মুঠোফোনে কথা বললে। তিনি জানান, গত জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর আমাকে ফাঁসাতে এমন অভিযোগ করছে। কর আদায় করে পৌর মেয়র আব্দুল মালেক ও সাবেক সচিব গাজী আবুল কাশেম এর কাছে জমা দেয়া হয়েছে। কোন টাকা আত্মসাৎ করেননি বলে।

তিনি দাবি করেন, এই টাকা ট্রেজারি থেকে তুলে আনার পর সাবেক সচিব গাজী আবুল কাশেমকে দিয়েছেন। নিজে ১২ লক্ষ টাকা রেখে দেন। তিনিও সে টাকা পৌর ফান্ডে জমা করেননি বলে এমন দাবি করে শ্রী বিশ্বজিৎ সরকার।

আরও জানা যায় ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক সচিব ও বর্তমান পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল আহমেদ ১২ লক্ষ টাকা গ্রহণের কথা অস্বীকার করে জানান, এটি সত্য নয়। তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তাকে অন্যথায় দোষারোপ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক সচিব গাজী আবুল কাশেম খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, পৌরসভার প্রায় ২২ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা ফান্ডে জমা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। কর আদায়কারী শ্রী বিশ্বজিৎ সরকারকে প্রথমে শোকজ ও পরে সাময়িক বরখাস্ত করে আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত দেবার জন্য চিঠি দেয়া দরকার।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *