নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ওয়ারীর গোপীবাগে নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংঘর্ষের সময় পিস্তল হাতে গুলি চালানো সেই যুবকের পরিচয় জানিয়েছে পুলিশ। তার নাম আরিফুল ইসলাম। তিনি ঢাকা দক্ষিণে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের পিএস বলে ভাষ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটির।
বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাতিরঝিল থানাধীন মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি .২২ বারের বিদেশি পিস্তল ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। সাবেক ছাত্রদল নেতা আরিফুলের বাড়ি বরিশালে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের আরিফুলের বিষয়ে তথ্য জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন।
আব্দুল বাতেন বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর ওয়ারী থানাধীন গোপীবাগ এলাকায় নির্বাচন প্রচারণাকালে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। উল্লেখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত ওয়ারী থানায় একটি মামলা করা হয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগও ছায়া তদন্ত শুরু করে। ওই ঘটনায় নানা ধরণের তথ্যের অবতারণা হয়। যে কারণে ওই ঘটনায় অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসাটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তদন্তে স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত অপরাধ সংগঠিত ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়। এক পর্যায়ে গুলিবর্ষণকারী অস্ত্রধারীকে শনাক্তে ভিডিও ফুটেজ ও স্থির চিত্র সংগ্রহ করা হয়। তার মুখমন্ডল, পরিহিত জামা-কাপড়, জুতা, হেলমেট ইত্যাদি বার বার পর্যবেক্ষণ করা এবং গুলিবর্ষণের কিছুক্ষণ আগে ধারণকৃত স্থিরচিত্রের সাথে হেলমেটবিহীন অনুরুপ ছবি দেখতে পেয়ে দুটি দৃশ্যের স্থিরচিত্র পাশাপাশি নিয়ে মিলিয়ে নিশ্চিত হয়ে আরিফুল ইসলামকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আরিফুল ওই সময় গুলি বর্ষণ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
আব্দুল বাতেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা গুলির খোসা পেয়েছি ঘটনাস্থল থেকে। সেই গুলির খোসার সাথে তার কাছ থেকে জব্দ করা গুলির মিল আছে। ওয়ারী থানায় করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার ব্যবহৃত অস্ত্রটি বৈধ নাকি অবৈধ তা তদন্ত করে দেখা হবে। তবে বৈধ অস্ত্র যদি কেউ অবৈধভাবেও ব্যবহার করেন তাহলেও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ব্যবস্থা নেয়া যায়।’