নিজস্ব প্রতিবেদক : নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দেশের সমস্ত শহরে ৫ বছরের মধ্য আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বুধবার দুপুর ১২ টায় রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে কনসালটেন্ট নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি কেআইএস গ্রুপের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
নসরুল হামিদ বলেন, ঢাকা শহরে দেখেন, বিদ্যুতের তারের জন্য সব গাছের গলা কেঁটে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটা করা যাবে না। এতে পরিবেশের ক্ষতি হয়। বিদ্যুতের তার আন্ডারগ্রাউন্ডে নিতে হবে। এই আইডিয়া প্রকৌশলীদের দেওয়া উচিত, কিন্তু দুঃখজনক তাদের থেকে এই প্লান আসেনি। কেনো রাজনীতিবিদদের থেকে আসতে হবে। এই প্রকল্পের আলোচনার পর ৩ বছর কেটে গেলো, এটা দুঃখজনক।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংসহ এ প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুতের লাইন আন্ডারগ্রাউন্ডে স্থাপন করা হবে। রাজধানী এবং এর আশেপাশের সব বিদ্যুৎ কেবল আন্ডারগ্রাউন্ডে স্থাপন করা হবে।
পরবর্তীকালে খুলনা, যশোর, রাজশাহীসহ পর্যায়ক্রমে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সব শহবের বিদ্যুতের লাইন আন্ডারগ্রাউন্ডে স্থাপন করা হবে। ঢাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় সাবস্টেশনও আমরা আন্ডারগ্রাউন্ড করার প্রকল্প হাতে নিয়েছি বলে জানান তিনি।
বিদ্যুতের লাইন আন্ডারগ্রাউন্ড করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, যত বেশি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হবে তত বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। বিদ্যুতের কেবল আন্ডারগ্রাউন্ড করা শুধুমাত্র শহরগুলোর সৌন্দর্যের জন্য নয়। যখন-তখন বিদ্যুতের লাইন কেটে যায়, ট্রান্সফরমারে আগুন লেগে যায়, বিদ্যুতের কেবলে বিভিন্ন ধরনের পাখি বসে। বিদ্যুতের লাইন আন্ডারগ্রাউন্ডে স্থাপন করলে এগুলো থেকে মুক্ত পাওয়া সম্ভব হবে।
নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সম্পাদন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, শুধু আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করলেই হবে না এগুলো মেইনটেন্যান্স এও ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। মেইনটেনেন্স আমাদেরকেই করতে হবে। সুতরাং এসব বিষয়ে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আপনারা ভালোভাবে বিষয়গুলো বেশি যেন পরবর্তীতে মেইনটেনেন্স করতে কোনো সমস্যায় না পড়তে হয়।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণ এখন আরও এক মিনিটের জন্যও বিদ্যুৎ যাওয়া পছন্দ করে না। সুতরাং আমাদের এক মিনিটের জন্যও যেন বিদ্যুত না যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব সুলতান আহমেদ, পিডিবির পরিচালক জহুরুল হক, সচিব সাইফুল ইসলাম আজাদ, এনার্জিট্রনের প্রধান প্রকৌশলী ও টিম লিডার খন্দকার ওয়াহিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।