গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন কি শেরেবাংলানগর এলাকা ইজারা নিয়েছেন ?  

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  : বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে, সর্ব ক্ষেত্রে চলছে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা চিহ্নিত করে তাদের দীর্ঘ ১৫ বছরের অনিয়ম, অবৈধ সুযোগ সুবিধা বন্ধ সহ তাদের দুর্নীতি’র সন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। নিয়মানুসারে  সরকারি চাকুরিবিধি অনুযায়ী যেখানে তিন বছরের বেশি থাকার নিয়ম না থাকা সত্বেও  দিব্যি পাঁচ বছর কাটিয়ে দিচ্ছেন শেরেবাংলানগর গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের ।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, সারা দেশে গণপূর্তের যেখানে কোনো প্রকল্প নেই সেখানে সংসদে একের পর এক প্রকল্পের উপরি কামাইয়ের লোভ সংবরণ করতে পারছেন না মোয়াজ্জেম হোসেন। আর এখানে তার অধীনেই ঠিকাদারী কাজ করেন তার আপন ভাই মনোয়ার হোসেন। যে কাজগুলো সবচে’ লোভনীয় অথবা যা না করেই বিল তোলা যায় তেমন কাজগুলোই করাচ্ছেন তার ভাইকে দিয়ে।


বিজ্ঞাপন

জাতীয় সংসদের স্পিকারের পিএস কামাল বিল্লাহ ও চিফ হুইপের পিএস জিলানীকে ম্যানেজ করেই এতোদিন ধরে টিকে রইছেন তিনি। এখন তিনি ধরেছেন গণপূর্তমন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর পিএস হুমায়ুনকে। বিসিএস ১৫ ব্যাচের কর্মকর্তা ও অযোগ্যতার কারনে প্রমোশন না হওয়া এই হুমায়ুনের বাড়ির পাশেই না-কি মোয়াজ্জেমের বাড়ি। আর তিনিই নিচ্ছেন তাকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব।

২৪তম বিসিএস এর প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন শেরেবাংলানগর-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন ২০১৯ সালে। সে সময়ে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাকে বদলি করা হয়। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েই নিজ ভাইকে নিয়ে আসেন ঠিকাদারীতে। সে সময়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিনের সঙ্গে মিলে ভাই ও শ্যালকদের ঠিকাদারীদের কাজে লাগিয়ে প্রায় এক শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অনিয়মের কারনে সেই রোকন উদ্দিনের চাকরি চলে গেলেও এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ও চিফ হুইপের দপ্তরের সাপোর্ট পেয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠা মোয়াজ্জেম তার উপরস্থ ও অধীনস্থ কোনো কর্মকর্তাকেই পাত্তা দিচ্ছেন না। ইচ্ছেমতো কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সংসদে কর্মরত দু’একজন সাংবাকিদকে ম্যানেজ করেই তার দুর্নীতি ধামাচাপা দিচ্ছেন। সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে নিয়মিত ‘নানা কিছু সাপ্লাই’ দিয়ে ম্যানেজ মাষ্টার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে বদলি হলেও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন এই মোয়াজ্জেম। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিস্ট কিছু অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন রয়েছে।

অবৈধভাবে জি কে শামীমকে ১০ কোটি টাকা বিল পরিশোধ করার বিষয়টি আবারও তদেেন্ত উঠে এসেছে। তাঁর লুটপাটের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হবে পরবর্তী প্রতিবেদনে। সে পর্যন্ত দেখার বিষয় গণপূর্ত মন্ত্রীর পিএস হুমায়ুন তাকে রক্ষা করতে পারেন কি-না?

এ বিষয়ে শেরেবাংলানগর গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন এর বক্তব্য জানতে তার অফিসে গিয়ে এবং ফোন করে ও তাকে পাওয়া যায় নি ফলে তার কোন বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।পরবর্তীতে শেরেবাংলানগর গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন সহ তার মদদদাতা ও সহযোগীদের বিষয়ে চমকপ্রদ তথ্য সংবলিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এবিষয়ে আমাদের তদন্ত টিম তাদের তদন্ত  অব্যাহত রেখেছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *