বিশেষ প্রতিবেদক : কুমিল্লা জেলার বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধকল্যান সমিতির কোটি কোটি টাকা অর্থ লুটপাট এর অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা জেলা অন্ধকল্যান সমিতির কমিটির বিরুদ্ধে।

অনুসন্ধানে জানা যায় কুমিল্লা জেলা অন্ধকল্যান সমিতির কমিটি সরকারি কর ফাঁকি দিয়েছেন (২.৫০.০০০০\=, দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা)।

বিগত ১৭ বছর আওয়ামিলীগ এর দোসর সাবেক এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের নেতৃত্বে তার পরিবারকে নিয়ে উক্ত কমিটি লুটপাট চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

লুটপাটের সূত্র বলছে সাবেক এমপি বাহার”সহ তার স্ত্রী ও তার সন্তান সাবেক কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা এই লুটপাট মূল নায়ক।

পারিবারিক লুটপাট বললেই বলা যায়। এমপি বাহারের পারিবারিক লুটপাট এটা নতুন কিছু নয় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রায় দেড়শো কোটি টাকা লুটপাটেরও নজির রয়েছে। সড়ক, এলজিডি, সাবরেজিস্টার কোন দপ্তর বাদ নেই এমপি বাহারের পারিবারিক লুটপাট চালায়নি।
সাবেক এমপি বাহারের পারিবারিক লুটপাট এর শিকার হয়েছে এই অন্ধকল্যান সমিতি। তবে এই পারিবারিক লুটপাট এর সুযোগ করে নিয়েছেন আওয়ামিলীগ এর দোসরদের দিয়ে কমিটি তৈরি করে। উক্ত কমিটির সকল সদস্য ছিলেন এমপি বাহারের পারিবারিক আওয়ামী কমিটির সব সদস্য। এই অন্ধকল্যান সমিতির অর্থ জুলাই আগস্টের আন্দোলনেও অর্থ ব্যয় করার অভিযোগও রয়েছে। শুধু তাই নয় ছাত্র জনতার উপরে হামলায় সরাসরি জড়িত ছিলেন এই অন্ধকল্যান সমিতির অনেক সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
দুঃখ জনক হলেও সত্য এই যে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে আড়াই কোটি টাকা লুটপাটের করা হয়েছে। সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের সাথে চুক্তি ২০% ফ্রি চিকিৎসা দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করেনি উক্ত কমিটি। দীর্ঘদিন যাবত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট আ.হ.ম. তাইফুর আলম তিনি সাবেক এমপি বাহারের পারিবারিক লুটপাট এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়েছিলেন বলেও এমন অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে কুমিল্লা জেলা অন্ধকল্যাণ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সাবেক এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ছিলেন। অ্যাডভোকেট ও মহিলা আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেত্রী ফাহমিদা জেবিন সাবেক ওসি মহিউদ্দিন এর বেড পার্টনার থাকার অভিযোগে একাধিকবার বিতর্কিতও হয়েছিলেন।
ওসি মহিউদ্দিন এর স্ত্রী মহিউদ্দিনসহ ফাহমিদা জেবিনকে হাতেনা হাতে ধরেছিলেন এই নিয়ে বিতর্কিত সৃষ্টি হয় সারা দেশে। সাবেক এমপি বাহার নারীনেত্রী অ্যাডভোকেট ফাহমিদা জেবিনকে দিয়ে বিভিন্ন লোকদেরকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য এমপি বাহার জেবিনকে ব্যবহার করতেন। অন্ধকল্যান সমিতির অনেককেই জেবিনকে দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেছেন বলেও এমন গুঞ্জন রয়েছে।
অ্যাডভোকেট আ.হ.ম. তাইফুল আলম সহ বর্তমানে বহাল থাকা কমিটিকে সাবেক এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার বিদেশ থেকে যেই ভাবে নির্দেশ দিচ্ছেন সেই ভাবেই তিনি কমিটি পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘুরেফিরে আওয়ামী পূর্ণ বাসন কমিটি আবারও করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গঠন তন্ত্রের ১৮ এর অনুচ্ছেদকে ডিঙ্গিয়ে গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি কমিটিও করেছেন আওয়ামিলীগ এর লোকজনদেরকে দিয়ে এটি পুরোপুরি আওয়ামিলীগ পূর্ণ বাসন কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি লুটপাট কৃত অর্থ আওয়ামি লীগ কর্মীদেরকে সহায়তা দেওয়ার হুকুম রয়েছে সাবেক এমপি বাহারের সেটিকেই বাস্তবায়ন করছেন বর্তমান কমিটি।
সাবেক কমিটির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের উপরে হামলার অভিযোগ রয়েছে। উক্ত কমিটিতে থাকা সাবেক এমপি বাহার, বাহারের স্ত্রী, মেয়ে সাবেক সিটি মেয়র তাহসিন বাহার সূচিনা, অ্যাডভোকেট ফাহমিদা জেবিন, অ্যাডভোকেট নূরুল রহমান, মীর্জা মোহাম্মদ কোরাইশি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল যাকে বার বার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলেন এমপি বাহার।
তাদেরকে দিয়েই দিয়ে এমপি বাহার পুরো কুমিল্লা ৬ আসন এর বড় অংশ লুটপাট নিয়ন্ত্রণ করতেন। এরা সকলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলার আসামি।
এদেরকে বর্তমান সভাপতি আ.হ.ম. তাইফুর আলম এর নেতৃত্বে গঠনতন্ত্রের ১৮ এর অনুচ্ছেদের পরিপন্থি ভাবে রাতারাতি নতুন কমিটি করেছেন যাদেরকে বাদ দিয়ে কমিটি করা হয়েছে তাদের অনেকেই আওয়ামিলীগ এর সাথে আতাত ছিলেন।
আবার অনেকেই আওয়ামিলীগ এর সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে মিসেস রাকিবা মালেক এমপি বাহার ও তার পরিবারের খুব কাছে লোক ছিলেন, প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজান সিরাজ, নির্বাহী সদস্য মোঃ আব্দুল হালিম, নির্বাহী সদস্য ফিরোজ আলম, নির্বাহী সদস্য প্রদীপ কুমার রাহা, ডাক্তার এম কে ঢালী, ডা. মাঈন উদ্দিন ঈমন, মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঈয়া। বর্তমান কমিটির সকলেই এমপি বাহার সহ তার পারিবারিক সদস্যদের খুব কাছের লোক ছিলেন তবে নির্বাহী সদস্য প্রদীপ কুমার রাহা ছিলেন এমপি বাহার ও তার মেয়ে সাবেক মেয়র সূচির নির্বাচনীয় ডোনার। মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঈয়া অন্ধকল্যাণ সমিতির লুটপাট এর প্রধান আগেও ছিলেন এখনো বহাল এইচ আর এডমিন হিসেবে।
ডাক্তার এম.কে ঢালী ডা. এমরান এইচ সরকারের সাথে জাতিকে বিপাকে ফেলার গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সহযোগী ছিলেন। ডাঃ মাঈন উদ্দিন ঈমন তার বিরুদ্ধে এনএসতেশিয়া ছাড়াই রোগী হত্যার অভিযোগ রয়েছে এছাড়াও কুমিল্লা টাউনহলের ময়দানে রয়েছে ছাত্র জনতার উপরে হামলার লোকবল দেওয়াসহ অর্থযোগান ও ছাত্র জনতার উপরে হামলা করার বক্তব্য।
অন্ধকল্যান সমিতির আওয়ামিলীগ এর লুটপাট এর বিষয়ে বিরোধিতা করায় অনেকে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ও হারিয়েছেন কমিটির পদ-অধিকার বলেও অনেক নজির রয়েছে।
বর্তমান সভাপতি আ.হ.ম. তাইফুর আলম এর নেতৃত্বে সাবেক এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার সহ তার স্ত্রী, মেয়ে সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটু, আওয়ামি যুবলীগ এর আহ্বায়ক শহীদ ওরফে চিকা শহীদ সহ আরও অনেক নেতা কর্মীদেরকে তার নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে দেশের বাহিরে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন বলেও ছাত্র জনতা সহ আরও অনেকেই এমন অভিযোগ করছেন।
উক্ত বিষয় সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে উক্ত অভিযোগ এর ভিক্তিতে কুমিল্লা জেলা অন্ধকল্যান সমিতি কমিটির সভাপতি আ.হ.ম তাইফুর আলমকে ফোন করে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে অন্য এক ডাক্তারের উপরে সব দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন।
কুমিল্লা জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান অভিযোগ পেয়েছি উক্ত বিষয় তদন্ত কমিটি ঘঠন করে দেওয়া হয়েছে উক্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদনের উপরে ভিক্তি করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।