নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার দক্ষিণ মাতুয়াইলের মেডিকেল রোড আবাসিক এলাকা (শামীমবাগ) ও তুষারধারা এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ রাকিব হোসেনের গ্রেপ্তার এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি কদমতলী থানা পুলিশ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য, রাকিব এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক কারবার, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা থাকলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

সুত্র জানায়, ১৯ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সাপ্তাহিক মুক্ত বিকাশ পত্রিকার প্রতিনিধি গাজী আইমানুল নাফিজ জিদান কর্মক্ষেত্রের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় জামতলা এলাকায় রাকিব ও তার সহযোগীরা তার পথরোধ করে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় এবং পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আহত অবস্থায় জিদানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মাথা, কপাল, পিঠ, বুকে ও চোখের ওপরে মোট ১১টি সেলাই করতে হয়। এ বিষয়ে কদমতলী থানায় মামলা হয়।

এর আগে গত ১৬ জুন কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল মমিন পাটোয়ারীর নির্মাণ প্রকল্পে কর্মরত রাজমিস্ত্রী উজ্জ্বল ও সজীবের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে রাকিব। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের মারধরও করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতা রাকিবকে ধরে ফেলে গণধোলাই দেয় এবং বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে কদমতলী থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও অভিযুক্ত রাকিব পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, রাকিবের দাপটে এলাকার ভদ্র মানুষজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ব্যবসায়ী, বাড়ির মালিক এমনকি পথচারীরাও তার হামলার শিকার হয়েছেন। এখন পর্যন্ত তার হাতে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়েছেন অন্তত ৭০-৮০ জন।
এ বিষয়ে কদমতলী থানার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসী বলছেন, “এতসব ঘটনা ঘটার পরও তাকে গ্রেপ্তার না করা পুলিশের উদাসীনতা ও দুর্বলতার উজ্জ্বল প্রমাণ।” তারা রাকিবের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।