গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহাঙ্গীর আলম।
নিজের প্রতিনিধি : মাত্র ৯ বছর গণপূর্তে চাকরি করে তিনি এখন শত কোটি টাকার মালিক। গণপূর্তে আপদমস্তক দুর্নীতিবাজ একজন নারীখোর নন বিসিএস প্রকৌশলী হিসাবে সবাই তাকে চেনেন ও জানেন। হাইভোল্টেজ তদবীরে লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই কোনো রকম ভাইভা পরীক্ষা দিয়ে এসডিই হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। কোনো নারী সহকর্মীই তার কাছে নিরাপদ নন।
বিভিন্ন সময়ে নারী সহকর্মীকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করলেও মানসম্মানের ভয়ে তারা কেউ মুখ খোলেন নি। গণপূর্তের সাবেক সচিব কাজী ওয়াসিউদ্দিন এ বিষয়ে জানতে পেরে তাকে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে বদলী করে দেন।
মহাধুরন্ধর এই প্রকৌশলীর নাম মো: জাহাঙ্গীর আলম । তিনি গণপূর্তের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী।বর্তমান কর্মস্থল রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগে। তার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে জানাগেছে, চাকুরী জীবনের শুরু থেকেই তিনি ঘুস-দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত। অবৈধ পথে উপার্জিত টাকায় ঢাকার মোহাম্মদপুরে গড়েছেন আলিশান বাসভবন। কুয়াকাটাতে রয়েছে রিসোর্ট। গ্রামের বাড়িতে কিনেছেন ৩০ বিঘারও বেশি জমি । তিনি গণপূর্তে ২০১২-২০১৬ পর্যন্ত চাকরি না করেও এককালীন বেতন-ভাতা তুলেছেন। একই সময়ে তিনি বিআইডব্লিটিএ থেকেও বেতন তুলেছেন। কোনো সরকারি কর্মকর্তার জন্য এটি নজিরবিহীন ঘটনা।
ঢাকার জিগাতলা কোয়ার্টারের কাজ না করিয়ে এসডিই এবং এসও এর মতামত সনদ ছাড়াই ঠিকাদারের সাথে টাকা ভাগাভাগি করে বিল তুলে নিয়েছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গ্লাস টাওয়ারে লাইটের মূল্য তিনগুন দেখিয়ে এনার্জী প্লাস কোম্পানির সাথে যোগসাজস করে লুটে নিয়েছে ৮ কোটি টাকা । বিভিন্ন কাজ ঠিকাদারকে দিয়ে না করিয়ে ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেই টাকা লুটেপুটে খেয়ে কাজ অর্ধেক করে এবং কখনো কাজ না করেই পুরো টাকা তুলে নিয়ে ভাগাভাগি করেছেন।
প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর ১০ লক্ষ চাঁদা দিয়ে টাকা দিয়ে ঢাকা বোট ক্লাবের মেম্বার হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে । সেখানে নায়িকা পরীমনিকে ছাড়াও অনেক মেয়ে নিয়ে আনন্দ ফুর্তি করতে যান বলে একাধিক সুত্র দাবী করেছে।
সম্প্রতি প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর বিভিন্ন প্রকৌশলীর নাম বেনামে অভিযোগ লিখে পত্র পত্রিকায় খবর প্রচার করে সেখানে পোস্টিং নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন । এছাড়া ২ কোটি টাকার বিনিময়ে ঢাকায় ওয়ার্কিং ডিভিশনে পোস্টিং বাগিয়ে নেয়ার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ জন্য তিনি পূর্ত মন্ত্রীর কাছের লোকজনের বাসায় ধর্ণা দিচ্ছেন । অথচ: দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারির কারণে তাকে মাত্র ৩ মাস আগে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে বদলি করা হলেও তিনি পুনরায় ঢাকায় ফিরে আসতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন। প্রসঙ্গপূর্বক প্রশ্ন উঠতে ই পারে? কি মধু আছে গণপূর্তের ঢাকা অফিসে?