মাগুরা পারপলিতা পিপিএনসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী নেতাদের কালোথাবা !

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন শিক্ষাঙ্গন সারাদেশ

মাগুরা প্রতিনিধি :  মাগুরা সদর থানার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের পারপলিতা পিপিএনসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘ ১৪ বছর লুটেপুটে খাচ্ছে আওয়ামী দুর্বৃত্তরা। এই বিদ্যালয়টিকে পুঁজি করে চলছে রমরমা শিক্ষা বাণিজ্য। আওয়ামী লীগের এমপি শেখরের ভাই হিসামের পা চাটা কিছু দুষ্কৃতিকারী আওয়ামী নেতা অবৈধভাবে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে এই স্কুলে তাদের কালোথাবা ফেলে রেখেছে। অযোগ্য ব্যক্তিদের অবৈধ নিয়োগ দিয়ে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটি তৈরী করে আসছে।


বিজ্ঞাপন

গত ২৭শে আগস্ট ২০২৪ বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি পরিবেশের ভিতর দিয়ে তারা অবৈধ ভাবে নামে মাত্র নির্বাচন করে গভর্ণিং কমিটি গঠন করছে এবং চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনেক বেকার যুবক থেকে ১০ থেকে ১৫ লাখ করে টাকা নিয়েছে।


বিজ্ঞাপন

এই চক্রের সাথে যারা জড়িত বলে শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে আওয়ামী নেতা ও হিসামের পা চাটা দালাল আশরাফুল (কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের বলুগ্রামের বাসিন্দা) বেরইল পলিতা ইউনিয়নের চরবিজয়খালি বলাডাংগা গ্রামের আওয়ামী ত্রাস আমিনুর রহমান, আওয়ামী দালাল মোহন বিশাস ( বলুগ্রাম বাসিন্দা ) হাফিজার মোল্যা (বলুগ্রাম পুর্বপাড়) লাল্টু মোল্যা (বলুগ্রাম পূর্বপাড়া) সোহরাব হোসেন (রামচন্দ্রপুর)। এছাড়া বেরইল পলিতার চেয়ারম্যান রাজা মিয়া এই চক্রের গডফাদারের ভুমিকা পালন করছেন।

উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে আওয়ামী নেতা হিশাম ও টিএনও বড় মাপের ভাগ পেয়ে থাকেন। বাংলাদেশের তুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগেই এই প্রতিষ্ঠানে প্রহসনের নির্বাচনের জন্য টিএনও সব থেকে বেশি দায়ী। চেংগারডাংগা গ্রামে মিলন ঠাকুর নামে একটা লোক আছে সেও এই নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত। এবং ওরাই ভাংগার কাল শসান ও মন্দির নিয়া ব্যাবসা করে। মিলন ঠাকুর,( গ্রাম চেংগারডাংগা) মনি কুমার বিশ^াস (নতুন গ্রাম) প্রদুত বিশাস (নতুন গ্রাম) মিলন ঠাকুরেরা একটি চক্র।

ভোটার আইডিও নাকি একাধিক। মিলন নামের ওই লোকটা নাকি মুসলমান কিন্তু হিন্দু বেশে আছে দীর্ঘ ১৫ বছর। সে নাকি খুলনার এরশাদ শিকদারের খুব কাছের লোক ছিল। মিলনে বাংলাদেশে কিছুই নেই, কিন্তু চলাফেরা করে সম্রাট বা জমিদারদের স্টাইলে। এই মিলন ঠাকুর আসলে সে কি মুসলিম না হিন্দু তা কেউ বলতে পারে না। না হিন্দু এটা জানার খুব ইচ্ছে এলাকার লোকের কিন্তু আওয়ামী ওই দালালদের প্রভাবে নয়ে সবাই চুপশে থাকে।।

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আগস্টে দেশের ওই পরিবর্তনে ভিতরে চুপি চুপি নির্বাচন কি করে হলো এবং টিএনও শিখরের ভাই হিশামের দালালি করে নিজেও হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। এই চক্রের মাস্টার মাইন্ড আশরাফুল (বলুগ্রাম) ও মিলন ঠাকুর) এদের কাছে অবৈধ অস্ত্র আছে । আর দীর্ঘ ১৪ বছরের ধরে এই চক্র গুলিই স্কুলের সভাপতি ও ম্যানেজিং কমেটি সেজে স্কুল কর্তৃপক্ষ হয়ে বসে আছে। অথচ যারা স্কুলের আদি প্রতিষ্ঠাতা তাদেরকে স্কুলের এরিয়ায় ঢুকতে দেয় না।

এই স্কুলের কয়েকটি নিয়োগ এখনো বাকি। সেগুলো নিয়ে বড় ব্যাবসা করার প্ল্যান করছে। হয়তো হাতিয়ে নিবে লাখ লাখ টাকা। ওই স্কুলটিতে গত ১৪ বছরে যতোগুলো নিয়োগ হয়েছে তা লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে। একটা শিক্ষকও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পান নি। আর বেরইলপলিতা ইউনিয়নে হিশাম মনোনীত আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবু মুন্সি ও হিশামের খুব কাছের দালাল, আশরাফুল (বলুগ্রাম আওয়ামী সদস্য) ও আমিনুর (বলাডাংগা) ও মোহন বিশাস (বলুগ্রাম আওয়ামী লীগ) হাফিজার (বলুগ্রাম পুর্বপাড়া) এরা ভোটারদের জোর করে মেরে মেরে ধরে নিয়ে যায়। ভোট দিতে বাধ্য করে। এ বিষয়ে ছাত্র,ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ দ্রত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *