সিলেট (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : দেড় কোটি টাকার খনিজ বালি চুরির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী বসতভূমির মালিক। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত আফজাল উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন কবির গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাহিরপুর থানায় ওই অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত তাজুদ রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ, তার বড়ভাই আবু লাহাব ও সফিক এবং একই গ্রামের মৃত জহির মিয়ার ছেলে তাদের অপর প্রতিবেশী সুবেল মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন।
অভিযোগ উঠেছে অভিযোগটি আমলে না নিয়ে পুলিশ তদন্তের নামে মামলা গ্রহণে সময়ক্ষেপণ করছে। এছাড়া ওই অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য অপকৌশলে অভিযুক্তদের দিয়ে অভিযোগকারীকেই উল্টো নানামুখী চাপ ও হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পততের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগ নিয় উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের বাসিন্দা জাদুকাটা নদীর পাড় কাটা, সেইভ ড্রেজার চালানো, জাদুকাটা নদীর তীরে পুকুরসদৃশ একাধিক কোয়ারি তৈরি করে খনিজ বালি পাথর লুটের মূলহোতা আবু লাহাব, আব্দুল্লাহ, সফিক, সুবেল ও অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন হুমায়ুন কবিরের উত্তরাধিকারী সূত্রে প্রাপ্ত জাদুকাটা নদীর বসতভূমি থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার খনিজ বালি পাথর প্রকাশ্যে চুরি করে জাদুকাটা নদী দিয়ে নৌকা, ছোট ও বড় ট্রলারে করে নিয়ে প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগকারী হুমায়ুন কবির তার দেওয়া লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, অভিযুক্তদের ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনীর ১৫-২০ সদস্য রামদা, ধারালো দা, লোহার রড, শাবলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাহারা বসিয়ে খনিজ বালি পাথর চুরির উৎসব চালিয়ে গেছে।
রোববার দুপুরে অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের আবু লাহাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়টি থানার তদন্তকারী অফিসার আমাদের জানিয়েছেন। বিষয়টি আপস-নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা চলছে।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়োর হোসেন অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন এসআইকে অভিযোগটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে মামলা হিসেবে রেকর্ড করে অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।