বিশেষ প্রতিবেদক : শিক্ষিত হি’ন্দুরা চি’ন্ময়ের মুক্তি চায়, অশিক্ষিত হি’ন্দুরাও চি’ন্ময়ের মুক্তি চায়। ই’সকন হি’ন্দুরা চি’ন্ময়ের মুক্তি চায়, নন-ই’সকন হি’ন্দুরাও চি’ন্ময়ের মুক্তি চায়। দ্যাট ইজ হি’ন্দু স্পিরিট। এই একতাই তাদের বড় করে তোলে।
হি’ন্দুরা জানে যে, চি’ন্ময় দো’ষী হোক কিংবা নির্দোষ হোক, প্রথমে চি’ন্ময়কে নিজেদের বৃত্তে আগলে রাখতে হবে। চি’ন্ময়কে মু’সলমানের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। চি’ন্ময়ের দো’ষের কারণে কোনোভাবেই যেন মু’সলিমরা বেনিফিটেড না হয় সেদিকে প্রত্যেকটি হি’ন্দু সজাগ রয়েছে। এটাই হি’ন্দু ইউনিটি, যা হি’ন্দুত্ববাদকে মজবুত করেছে।
এবার দেখা যাক মু’সলমানরা কী করে : ধরুন কোনো হু’জুর গ্রে’প্তার হলো। মু’সলমানরা ওই হু’জুরের তিল পরিমাণ দোষকে তাল আকারে প্রচার করবে। এভাবে নিজেদের ঘুঁটি তারা হি’ন্দুদের হাতে তুলে দেবে, হি’ন্দুদের বেনিফিটেড করবে। তাছাড়া হু’জুর বিরোধিতা এক প্রকার স্মার্টনেস হিসেবে দাঁড়িয়েছে বিগত ১৫ বছরে। ফলে হু’জুরের সাপোর্ট করে মু’সলমানরা নিজেকে ক্ষ্যাত প্রমাণ করতে চায় না।
খেয়াল করে দেখবেন, কোনো শা’হবাগীই কোনো অভিযুক্ত হি’ন্দুকে এককভাবে দোষারোপ করে না। যখন কোনো হি’ন্দু কোনো একটি অন্যায় করে, তখন শা’হবাগীরা মু’সলমানের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে হি’ন্দুত্ববাদের সমালোচনা করে। যেমন, তারা কখনই বলবে না, হি’ন্দু মৌ’লবাদ খারাপ’। তারা হি’ন্দুর দো’ষটাকে লঘু করতে লিখবে, ‘মৌ’লবাদ মাত্রই খারাপ, সেটা হি’ন্দুর হোক কিংবা মু’সলমানের’।
অর্থাৎ, শা’হবাগীরা কখনই কেবলমাত্র এবং শুধুমাত্র হি’ন্দুদের নি’ন্দা করে না। হি’ন্দুর নি’ন্দা করার সময়ও তারা মু’সলমানকে যুক্ত করে একটা ন্যারেটিভ দাঁড় করায়।
দু’র্ভাগ্যজনকভাবে প্রত্যেকটি শা’হবাগীই মু’সলমানের ঘরে জন্ম নিয়েছে। শা’হবাগী নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে হি’ন্দুত্ববাদ থেকে আপনার রেহাই নাই। এই দেশে হি’ন্দুত্ববাদ কেবল একটি খোলস, শা’হবাগী যার আত্মা।