নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও বহির্গমন রোধ, সীমান্তবর্তী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বিধান, শিল্প কারখানায় নিরাপত্তা প্রদানসহ সারাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি’র ভূমিকা প্রশংসনীয়।
আগামীকাল ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস’ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এ বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ বিজিবি’র রয়েছে বীরত্ব, ঐতিহ্য ও গৌরবমণ্ডিত সমৃদ্ধ ইতিহাস। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর রয়েছে অবিস্মরণীয় অবদান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে হানাদার বাহিনী ঢাকার পিলখানাস্থ তৎকালীন ইপিআর সদর দপ্তরে আক্রমণ করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফসহ এ বাহিনীর ৮১৭ জন অকুতোভয় সদস্য আত্মোৎসর্গ করে দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বাহিনীকে ২০০৮ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধসহ দেশমাতৃকার প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে বিজিবি’র যে সকল সদস্য আত্মত্যাগ করেছেন আমি তাঁদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি।’
তিনি বলেন, সীমান্তের সার্বিক সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় বিজিবি’র সদস্যগণ সততা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সাথে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধ, মাদক ও মানব পাচার প্রতিরোধসহ দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি ও দুর্যোগ মোকাবিলায় এ বাহিনীর দক্ষতা এবং পেশাদারিত্ব জনআস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে বিজিবির সদস্যগণ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সর্বক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা বজায় রেখে পেশাদারিত্বের সাথে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- এর অব্যাহত সাফল্য কামনা করেন। (বাসস)