নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী খিলগাঁও থানা তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী মকবুল সহযোগীসহ গ্রেফতার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই সন্ত্রাসী চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে চাঁদাবাজি করতেন। ওই চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক অভিযোগে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গতবছরের ৬ নভেম্বর বিবাদীরা ব্যবসায়ী দেলোয়ারের কাছে বিভিন্নভাবে ফোনে ও প্রকাশ্যে চাঁদা দাবি করে আসছে।
বিবাদীদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ১৩ জানুয়ারি সকল অনুমান ১০ টার দিকে সিপাহীবাগ ক্লাব মোড় গোল চত্তর হইতে মোটরসাইকেল যোগে স্থানীয় দেলোয়ার হোসেনকে জোরপূর্বক উঠাইয়া ঘটনাস্থলের পাশে আবাসিক ভবনের পার্কিং পয়েন্টে নিয়ে বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করে। তাদের দাবিকৃত চাঁদা আদায়ের জন্য ইলেকট্রিক শর্টসহ বেধরক মারপিট করে।
বাদী অতিষ্ঠ হয়ে মারতে নিষেধ করলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আরো নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে বলে তুই আমাদেরকে চাঁদা না দিয়ে বাড়ি করলি কেন এখন মজা বুঝ। এখন তোর মোটরসাইকেলটি দিতে হবে অন্যথায় সমপরিমাণ দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে।
আসামি মকবুল এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। মিশন শেষ করে ধীরে ধীরে ঘটনা স্থল ত্যাগ করার সময় হুমকি দিয়ে বলে তাদের পরিমাণ মতো চাঁদা না দিলে যে কোন সময় দেলোয়ারকে খুন করে রাস্তায় ফেলে দিবে বলে জানায়। পরে নির্যাতনের শিকার বাদী সুস্থ হয়ে খিলগাঁও থানায় এজাহার দাখিল করলে মামলা রুজু করেন পুলিশ। খিলগাঁও থানা মামলা নম্বর ১০ তারিখ ২-২-২৫।
জানা গেছে থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রাজ্জাক ও সঙ্গীও ফোর্সসহ খিলগাঁও থানাধীন শান্তিপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে রাস্তার উপর হতে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামি মোঃ মকবুল হোসেন (৩৯) ও মোঃ অপু (২৮) কে ২ ফেব্রুয়ারি ২১.৪৫ টা দিকে ২৬৯ সিপাহীবাগ চারতলা গলি থেকে উভয় আসামিদেরকে গ্রেফতার করেন।
বর্ণিত গ্রেফতারকৃত আসামি মকবুল তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে রামপুরা খিলগাঁও সবুজবাগ মতিঝিল শাজাহানপুর পল্টন ও রমনাসহ অনূর্ধ্ব ২৬ টি মামলা চলমান রয়েছে। এ সকল মামলার মধ্য চাঁদাবাজি হত্যা অস্ত্র মারামারি বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি খিলগাঁও থানা অফিসার ইনচার্জ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।