বাগেরহাটের শরণখোলায় ছেলের চিকিৎসার জন্য সমাজের হৃদয়বান মানুষের সহযোগিতা চান অসহায় বাবা

Uncategorized গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন মানবিক খবর সারাদেশ

নইন আবু নাঈম তালুকদার (বাগেরহাট) :  পরিবারের স্বপ্ন ছিল, ছেলেটি বড় হয়ে পরিবারের হাল ধরবে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ সে নিজেই জীবনযুদ্ধে হার মানতে বসেছে। মাত্র ৩২ বছর বয়সী কর্মচঞ্চল যুবক অসিম রায় এখন বিছানায় পড়ে দিন কাটাচ্ছেন। ছয় মাস আগে একটি দুর্ঘটনায় তার ডান পা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে যায়, যা আজও সুস্থ হয়নি। অর্থের অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার অসহায় বাবা দুলাল রায়।


বিজ্ঞাপন

ঘটনাটি ঘটে ছয় মাস আগে, যখন অসিম রায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি ইজিবাইকে উঠেছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পরই দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। ইজিবাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন অসিম। দুর্ঘটনায় তার ডান পা উপর থেকে সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনায় নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। কিন্তু প্রাথমিক চিকিৎসার পরও পায়ের উন্নতি হয়নি, বরং দিন দিন তার অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের লাকুড়তলা চালিতাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা অসিম রায়ের বাবা দুলাল রায় বলেন, “আমার ছেলে খুবই কর্মচঞ্চল ছিল। সারাদিন পরিশ্রম করত, সংসারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করত। কিন্তু সেই দুর্ঘটনা সব শেষ করে দিল। ছেলের চিকিৎসায় প্রতিবেশীদের সাহায্য ও ধারদেনা করে প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন আর কিছুই করার সামর্থ্য নেই। অথচ এখনো আমার ছেলে বিছানায় পড়ে আছে, নিজে থেকে উঠতে পর্যন্ত পারে না। প্রস্রাব-পায়খানাও বিছানায় করতে হয়।”


বিজ্ঞাপন

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অসিমকে আবারও একটি বড় অপারেশন করাতে হবে, না হলে সে আর কখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে না। অপারেশনের জন্য কমপক্ষে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু নতুন করে চিকিৎসার খরচ চালানোর মতো একটাকাও দুলাল রায়ের হাতে নেই। তিনি সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবান মানুষদের কাছে ছেলের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন।

একজন কর্মঠ যুবক আজ অর্থাভাবে বিছানায় পড়ে জীবনযাপন করছে। একটু সহযোগিতা পেলে হয়তো আবারও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে অসিম। তার পরিবারের আর্তনাদ সমাজের দানশীল মানুষের কাছে পৌঁছে গেলে হয়তো নতুন জীবন ফিরে পেতে পারে এই অসহায় যুবক।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *