বনানী থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক লেবাস বদলে বিএনপি নেতা বনে গেছেন

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

!!  সম্প্রতি বনানী থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সজিবের অনুসারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিত দিচ্ছে তারা খুব শিগগিরই ফিরে আসছে আগের চেয়েও ভয়ঙ্কর রূপে। হটাৎ করেই তাদের এভাবে প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসার রহস্য উদঘাটন করতে গেলে অবশ্য প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায় তারা কারও কাছ থেকে অবশ্যই গ্রীন সিগন্যাল পেয়েছে! নয়তো এতো সাহস পাবার কথা নয়।  শফিকুল ইসলাম সজিব বনানীতে বিএনপির যে কোনো একটি পদ বাগিয়ে নিতে মোটা অংকের অর্থ লেনদেন করেছেন। যেই কথা রটে গেছে গোটা কড়াইল বস্তিতে। আবার পদ পেয়েও যাবেন সেই সিগন্যালও নাকি পেয়েছেন। সজিব তার ঘনিষ্ঠজনদের এমন কথাই জানিয়েছেন। এরমধ্যে তার এমন প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসার ঘটনায় যে কাউকেই অবশ্য তা বিশ্বাস করতে বাধ্য করে। বিএনপির নেতারাই তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করছেন। শুধু সজিবই নয় তার মতো আরও তালিকায় আছে বেলতলায় আনসার মজিবর ও কাজী রফিকুল ইসলাম এর মতো নামী শ্রমিক লীগ নেতারাও। দিব্যি বিএনপির সাথে মিশে গেছেন তারাও। কড়াইলে সজিবের বিএনপি পদ নিয়ে ফিরে আসার গুঞ্জন উঠার পর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমলোচনা। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা। সজিবের সাথে নাকি ফিরে আসছেন কড়াইল বস্তির মাদক সম্রাজ্ঞী ও যুবলীগ নেত্রী তাসলিমা বেগম। এর আগে তাসলিমার ক্ষমতা বলেই সজিব শ্রমিক লীগের পদ বাগিয়ে নিয়েছিলেন এবং তাসলিমার সন্ত্রাসী বাহিনী, বস্তিতে চাঁদাবাজি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাহলে এখন প্রশ্ন বিএনপির নেতা কর্মীদের এতোই সঙ্কট! নাকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছাড়া ক্ষমতা ধরে না রাখতে পারার ভয়  !! 
নিজস্ব প্রতিবেদক  :  রাজধানীর বনানী থানাধীন কড়াইল এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, হত্যা মামলার আসামি ও থানা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সজিব ওরফে বোচা সজিব। ৫ আগষ্টের পর থেকেই ছিলেন আত্মগোপনে। কিন্তু ইদানিং তাকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজড়ে পড়ে না কেন? এমন প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে!
সূত্রে জানা গেছে, গত কিছুদিন যাবত প্রায়ই রাত বিরাতে বনানী থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সজিবকে থানা ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীদের সঙ্গে গুলশানের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় গোপন বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে। তাদের বৈঠকে বিএনপির কয়েকজন কর্মীদেরও দেখা যায়। সেই বৈঠকের ছবি কেউ কেউ অতি উৎসাহী হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দিচ্ছেন। পরে আবার ডিলেটও করে দিচ্ছেন। তারা কড়াইল বস্তিকে ঘিরে গভীর ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করছেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে! বিশেষ করে কড়াইলের বেলতলা এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও কথিত বিএনপি কর্মী কামরুজ্জামান রুবেল ওরফে নাডা রুবেলকে নিয়মিতই দেখা যাচ্ছে সজিব এর সঙ্গে।
সম্প্রতি বনানী থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সজিবের অনুসারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিত দিচ্ছে তারা খুব শিগগিরই ফিরে আসছে আগের চেয়েও ভয়ঙ্কর রূপে। হটাৎ করেই তাদের এভাবে প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসার রহস্য উদঘাটন করতে গেলে অবশ্য প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায় তারা কারও কাছ থেকে অবশ্যই গ্রীন সিগন্যাল পেয়েছে! নয়তো এতো সাহস পাবার কথা নয়।
এ বিষয়ে গভীর অনুসন্ধান করতে গিয়ে অভিযোগ এসেছে, শফিকুল ইসলাম সজিব বনানীতে বিএনপির যে কোনো একটি পদ বাগিয়ে নিতে মোটা অংকের অর্থ লেনদেন করেছেন। যেই কথা রটে গেছে গোটা কড়াইল বস্তিতে। আবার পদ পেয়েও যাবেন সেই সিগন্যালও নাকি পেয়েছেন। সজিব তার ঘনিষ্ঠজনদের এমন কথাই জানিয়েছেন। এরমধ্যে তার এমন প্রকাশ্যে বেরিয়ে আসার ঘটনায় যে কাউকেই অবশ্য তা বিশ্বাস করতে বাধ্য করে। বিএনপির নেতারাই তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করছেন।
শুধু সজিবই নয় তার মতো আরও তালিকায় আছে বেলতলায় আনসার মজিবর ও কাজী রফিকুল ইসলাম এর মতো নামী শ্রমিক লীগ নেতারাও। দিব্যি বিএনপির সাথে মিশে গেছেন তারাও।
কড়াইলে সজিবের বিএনপি পদ নিয়ে ফিরে আসার গুঞ্জন উঠার পর থেকেই শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমলোচনা। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা। সজিবের সাথে নাকি ফিরে আসছেন কড়াইল বস্তির মাদক সম্রাজ্ঞী ও যুবলীগ নেত্রী তাসলিমা বেগম। এর আগে তাসলিমার ক্ষমতা বলেই সজিব শ্রমিক লীগের পদ বাগিয়ে নিয়েছিলেন এবং তাসলিমার সন্ত্রাসী বাহিনী, বস্তিতে চাঁদাবাজি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাহলে এখন প্রশ্ন বিএনপির নেতা কর্মীদের এতোই সঙ্কট! নাকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছাড়া ক্ষমতা ধরে না রাখতে পারার ভয়?
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শবে বরাতের রাতের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে নতুন আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ওই ছবিতে দেখা যায় সজিব বনানী কবরস্থানে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করছেন।‌ তার সঙ্গে ছিলেন কথিত বিএনপি কর্মী নাডা রুবেলসহ আরো কয়েকজন বিএনপির কর্মী। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে সজিব নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। যদিও কিছু দিন আগেও নিজেকে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে উপস্থাপন করতে ঘনঘন বনানী কবরস্থানে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ফটোসেশন করতেন। মাঝে মাঝেই টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিভিন্ন কাজে হাত দিতেন। আর এখন ক্ষমতায় টিকে থাকতে রাতারাতি লেবাস পাল্টে ফেলেছেন।
উল্লেখ্য, শফিকুল ইসলাম সজিব কড়াইলের আলোচিত সরকারি তিতুমীর কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। সজিব হাইকোর্টের আদেশে জামিনে রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *