চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের চিলমারিতে নিলাম ছাড়াই ব্রিজের পাশে সরকারি গাছ কেটে নিয়ে, রাতের আঁধারে তা সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২১ মার্চ) চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের, রাজারঘাট ব্রিজ সংলগ্ন সরকারি রাস্তার গাছ কাটার পরে তা সরিয়ে নেয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত সেই ব্যক্তির নাম ফজলু মিয়া, তিনি ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। জানাগেছে, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রাজারঘাট ব্রিজ এর উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে।

ব্রিজের উন্নয়ন কাজের স্বার্থে গাছটি উপরে ফেলার উপক্রম হয়, পরে সেই সুযোগে নিলাম ছাড়াই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ভেকু দিয়ে গাছটি উপরে ফেলার নির্দেশ দেন ফজলু মিয়া। পরে পাশের নির্দিষ্ট স্থানে গাছটি রাখতে বলেন তিনি। এরপর রাতের আধারে ফজলু মিয়া গাছটি, কয়েক খন্ডে ভাগ করে তা বেআইনি ভাবে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন এলাবাসি।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্রিজের নাইট গার্ড রুহুল আমিন জানান, গাছে কাটার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। ব্রিজের পাশে বাড়ির এক লোক তিনি গাছ কাটার নির্দেশ দেন। পরে গাছটি কেটে পাশের নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হয়েছিল। পরে কে গাছ নিয়ে গেছে সে বিষয়ে আমি জানি না।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান বলেন, এটি একটি সরকারি গাছ। ব্রিজের কাজ চলাকালে ভেকুর চালককে বলে গাছটি কেটে নেন ফজলু মিয়া। রাতের আঁধারে গাছটি তার বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। পরে বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছেন বলে জানান।
অভিযুক্ত ফজলু মিয়ার ছেলে সাদ্দাম মিয়ার নিকট গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন মোবাইলে নয় সামনা সামনি কথা হবে বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তাকে তদন্ত করার জন্য বলেছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।