গণপূর্তের  তিন প্রকৌশলীকে শাস্তির সুপারিশ !!  লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যু !! আর কতজন রোগী মরলে সরানো হবে দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হালিমকে ?

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফটে আটকা পড়ে মমতাজ বেগম (৫০) নামে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের তিন প্রকৌশলীকে দোষীসাব্যস্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সম্প্রতি জমা দেওয়া প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

এই তিন কর্মকর্তা হলেন গণপূর্তের ইএম বিভাগ-১০-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নিয়াজুর রহমান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক। তবে এই তদন্ত প্রতিবেদনকে মনগড়া বলে মন্তব্য করেছেন আব্দুল হালিম। তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য জানতে চাওয়া হয়নি।


বিজ্ঞাপন

গত বছরের ১২ মে মমতাজ বেগমকে মেডিসিন বিভাগ থেকে সিসিইউতে নেওয়ার সময় লিফটে প্রায় ৪৫ মিনিট আটকা পড়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন

উপসচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদনে গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-১০ ঢাকার তদারকির ব্যর্থতা স্পষ্টত পরিলক্ষিত হওয়ায় নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

একই সঙ্গে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণের চুক্তি না রাখায় গণপূর্ত বিভাগ ই/এম-১০ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের চুক্তিপত্রে বীমা বা ক্ষতিপূরণ রাখার সুপারিশ করা হয়।

আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত লিফট অপারেটর রফিকুল ও মোশারফ দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করাসহ এম/এস রওসান এলিভেটোর্সের লাইসেন্স বাতিল এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল আলম এই প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে  বলেন, এই তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছেও এসেছে। তদন্ত কমিটি যে তথ্য উল্লেখ করেছে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নিয়াজুর রহমান গণমাধ্যমে  বলেন, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদন্ত কমিটি হয়েছে বা তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে কি না, আমার জানা নেই। কোনোদিন তারা চিঠিও দেয়নি, কোনো মন্তব্য বা জবাবও চায়নি। এই ঘটনায় আমরা জড়িত নই, তাই কোনো দায়ও নেই। হাসপাতালের লিফটের কোনো কাজের সঙ্গে গণপূর্ত বিভাগ জড়িত না।

গণপূর্তের ইএম বিভাগ-১০-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম বলেন, তদন্ত কমিটি কোনো তথ্য জানতে চায়নি। তাই এ প্রতিবেদন মনগড়া।

গণপূর্তের  অভিযুক্ত তিন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ এর কপি।

 

আর কতজন রোগী মরলে সরানো হবে দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হালিমকে :  গণপূর্ত ই/এম বিভাগ ১০ এ কর্মরত দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী  আব্দুল হালিম আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হযেছেন। আওয়ামী লীগ আমলে তিনি হযে যান কুষ্টিয়ার হানিফের লোক আর বিএনপির আমলে তিনি হযে যান বঞ্চিত অফিসার। এইভাবে ঘোল পাল্টে চাকরিতে সিদ্ধহস্ত জনাব আব্দুল হালিম। টানা ছয় বছর ধরে কোন না কোন ওয়ার্কিং ডিভিশনে দাপটের সাথে কাজ করে তিনি অর্থবৃত্ত বৈভবের মালিক হযেছেন। যেকোনো কাজে কাঁচা এস্টিমেট বাবদ টাকা নিতে তিনি ওস্তাদ। তার বিরুদ্ধে একাধিক ঠিকাদার প্রাক্কলন বাবদ এডভান্স টাকা নেওয়ার অভিযোগ জানিযেছেন।

মিস্টার ম্যানেজবল পারসন হিসেবে পরিচিত  আব্দুল হালিম টাকা দিযে মোটামুটি সব অফিসার এবং সকল কে ম্যানেজ করার ওস্তাদ তাইতো বারবার লিফটের দুর্ঘটনা ঘটার পরেও তিনি বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন। এই বিষযে মন্ত্রণালয় থেকে  বলে দেওয়া হযেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কিন্তু গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তা মানছেন না। স্বাস্থ্য এবং গণপূর্ত উভয় মন্ত্রণালযেফ্রই কথাকে তোয়াক্কা না  করে বহাল তবিয়তে তিনি চাকরি করে যাচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় গাজীপুর তাজউদ্দিন হাসপাতালের লিফটটি যেই ব্র্যান্ডের তার মেরামত এবং অন্যান্য কাজ নিয়ম অনুযায়ী সেই ব্র্যান্ডকে দেওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত টাকার লোভে জনাব আব্দুল হালিম কাজটি দিযেছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি প্রতিষ্ঠানকে যাদের এই ধরনের কাজের কোন পূর্ব অভিজ্ঞতাই নাই। যার ফলে লিফটে প্রপার মেরামত বা মেইনটেনেন্স হয়নি ফলশ্রুতিতে সঠিক সমযে লিফট সঠিক তলায় না আসায় একজন ব্যক্তি লিফটে মৃত্যুবরণ করে। তাৎক্ষণাৎ শুরু হয় জনাব আব্দুল হালিমের ম্যানেজমেন্ট এর প্রক্রিয়া।

প্রথমে তিনি মৃতের পরিবারকে ম্যানেজ করেন তারপর তিনি তার ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করতে টাকা খরচ করেন। তাই যত সমযে লিফটের কোন মেরামত না হওয়ায় কিছুদিন পরে উক্ত লিফটে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে এবং আরো একজন ব্যক্তি মারা যায়। তৎ প্রেক্ষিতে ডিসি অফিসের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেন যে উক্ত বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আইনানক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্তের কথাও বলা হয় উক্ত পত্রে। তারপরেও তিনি বহাল তবিয়তের দায়িত্ব পালন করছেন।

নিজেকে বিএনপি বলে পরিচয় দেয়া এই অফিসার এর ব্যাবসায়িক পার্টনার আওয়ামীলীগের প্রেতাত্মা ও অন্তবর্তীনকালীন সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত  ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা  । এই বিষয়ে তার অধীনস্থ  কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ। নাম না প্রকাশ করা শর্তে তারা জানান যে, ই।এম বিভাগ ১০ এর মোটামুটি সকল কাজের ঠিকাদার জামিমা এন্টারপ্রাইজ এবং জাফর ব্রাদার্স। তাদের নামে ব্যবসা করে মোঃ আবদুল হালিম নিজেই কাজ করেন। এই জিনিস ওপেন সিক্রেট।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *