নিজস্ব প্রতিনিধি (লালমনিরহাট) : লালমনিরহাট জেলা রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদ পাটগ্রাম উপজেলা শাখার আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রবিবার (২৭ এপ্রিল) ২০২৫ইং বেলা ১২ টার দিকে পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে বৈষম্যমূলক আচরণে অকার্যকর হওয়া বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি সরাসরি বুড়িমারী টু ঢাকা রুটে চালু করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ প্রসঙ্গে এ সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাট জেলা রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আনিসুল হক বলেন, রাজস্ব খাতে আয় বৃদ্ধি হবে।

২০০৪ সালে ‘লালমনি এক্সপ্রেস” আন্তঃনগর ট্রেনটি চালু হলেও সেটি লালমনিরহাট সদর রেলস্টেশন থেকেই পরিচালিত হয়ে আসছে। এর ফলে জেলার বাকি চারটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন চলাচলের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে। পরবর্তীতে, দীর্ঘ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ১৩ বছর পূর্বে বুড়িমারী হতে সরাসরি ঢাকাগামী একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর প্রতিশ্রুতি থাকলেও অদৃশ্য কারনে সেই প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়িত হয়নি।

২০২৩ সালের শুরু থেকে “বুড়িমারী এক্সপ্রেস” চালুর দাবিতে চারটি উপজেলার জনসাধারণ এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ১২ মার্চ বুড়িমারী রেলস্টেশনে “বুড়িমারী এক্সপ্রেস” ট্রেনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় এবং পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জনাব অসিম কুমার তালুকদার ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেওয়া হয় যে, তিন মাসের মধ্যে বুড়িমারী রেলস্টেশনের অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন করে ট্রেনটি সরাসরি বুড়িমারী থেকে ঢাকায় চলবে।
ঘোষণার পর পরই “বুড়িমারী এক্সপ্রেস” নাম ব্যবহার করে একটি শাটল ট্রেন লালমনিরহাট সদর থেকে চালু করা হয়, যা মূলত “লালমনি এক্সপ্রেস” এর আদলেই পরিচালিত হচ্ছে। এই আচরণ সরাসরি চারটি উপজেলার জনগণের সাথে বৈষম্যের ও উপেক্ষার সামিল।
পরবর্তীতে, এই বৈষম্যের প্রতিবাদে ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তারিখে স্থানীয় জনগণ করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি হাতীবান্ধা রেলস্টেশনে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে রেখে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। সে সময় রেলের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থেকে মুঠোফোনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে তিন মাস সময় চেয়ে আন্দোলন স্থগিত করার অনুরোধ করেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই পরিস্থিতিতে, আমরা বুড়িমারী-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদের পক্ষ থেকে, লালমনিরহাট জেলার চার উপজেলার জনগণের পক্ষে আপনাকে বিনীতভাবে নিম্নোক্ত দাবিসমূহ পেশ করে বলেন, বুড়িমারী এক্সপ্রেস” ও “লালমনি এক্সপ্রেস” ট্রেন দুটি বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে সরাসরি ঢাকার উদ্দেশ্যে পরিচালনা করতে হবে।
লালমনিরহাট রেল বিভাগের প্রশাসনিক কাঠামোয় পরিবর্তন এনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।
চারটি উপজেলার জনসাধারণকে রেল সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ঢাকার সাথে সরাসরি যোগাযোগের একটি বাস্তবভিত্তিক রুট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মাওলানা শোয়াইব আহম্মেদ, আমির বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাটগ্রাম উপজেলা শাখা।
উপজেলা সেক্রেটারী জনাব মনোয়ার হোসেন লিটন, পৌর আমির জনাব মোঃ সোহেল রানা অধ্যাপক আতাউর রহমান উপদেষ্টা যাত্রী কল্যাণ পরিষদ লালমনিরহাট জেলা শাখা
-মোঃ আনিসুল ইসলাম সভাপতি লালমনিরহাট যাত্রী কল্যাণ পরিষদ পাটগ্রাম উপজেলা শাখা । মোঃ আনিসুল ইসলাম সভাপতি শ্রমিক কল্যাণ পরিষদ পাটগ্রাম উপজেলা উপজেলা শাখা।