মোস্তফা সরদার তপন অনুপমা ব্যানার্জি ও সেরা খবর ভুয়া পেইজে মিথ্যা বানোয়াট কুরুচিপূর্ণ পোস্টের প্রতিবাদ 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  মোস্তফা সরদার তপন অনুপমা ব্যানার্জি ও সেরা খবর নামে ভুয়া আইডি পেজ খুলে মিথ্যা বানোয়াট কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেওয়ার প্রতিবাদে জানিয়েছেন ভূক্তভোগি ফরিদুল আলম।এ প্রতারকের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় তাদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য অবৈধ পথ বেছে নিয়েছে এ প্রতারক।


বিজ্ঞাপন

তবে এ চক্রে একাধিক সদস্য থাকলেও সরাসরি জড়িত রয়েছে প্রতারক মোস্তফা। এ চক্রের নারী সদস্যর মধ্যে প্রতারকের ডিভোর্সি স্ত্রী লিমা ,শাহনাজ , ফেরদৌসিসহ আরো অনেকে। তবে মাফিয়া সদস্য অনুজ দাস, সাইদুল, ফখরুদ্দিনসহ আরও নাম না জানা অনেকে।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে তিন বছর আগে ফরিদুল আলমের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় সিত্তুল মুনার। পরিচয়ের দুই দিন পর নিজ হেফাজতে বাসা ভাড়া নিয়ে দেয় ফরিদুল আলমকে। বাসা ভাড়া নিয়ে তাদের মধ্য তৈরি হয় শারীরিক সম্পর্ক। ওই সম্পর্কের গোপনীয় ভিডিও কৌশলে ধারণ করে রেখেছে। সুযোগ বুঝে ব্লাক মেইল করতে শুরু করে। একপর্যায়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে ও বসে। বিয়ের পরে মুনার মোস্তফার সঙ্গে পরকীয়ার অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে ফরিদুল আলম হাতেনাতে ধরে ফেলেন তখন ঘটে বিপত্তি।


বিজ্ঞাপন

তখন ফরিদুল আলমের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে নিজ ফ্ল্যাট থেকে প্রতারক চক্রের সদস্য মোস্তফা , অনুজ দাশ , সাইদুলসহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মারপিটসহ সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় এবং দুই কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মুক্ত হয়ে আদালতে মামলা করেন ফরিদুল আলম। যাহা চলমান আছে। ওই মামলার জেড়ে প্রতারক চক্রটি কোণঠাসা হয়ে পড়লে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় ফরিদুল আলম এর উপর ক্ষিপ্ত হয়। এখন ফরিদুল আলমের মান সম্মান ক্ষুণ্ন করার জন্য ভূয়া আইডি খুলে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে এ প্রতারক ।

এদিকে ফরিদুল আলমের বিরুদ্ধে বিগত দিনে ভূয়া মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করার অভিযোগে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। এছাড়াও কাফরুল থানায় মামলা হয়েছে, আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা রয়েছে।যাহা চলমান থাকলেও আবার ভুয়া আইডি খুলে মিথ্যা ভাক্ত অসত্য তথ্য প্রচার করছে। যা সমাজের জন্য মারাত্মক হুমকি।

এ প্রতারক চক্রটি আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। এদেরকে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাতে না পারলে সমাজকে কলুষিত করবে। সমাজে কুশীলবদের জন্য হুমকিস্বরূপ। তবে সমাজপতিদের এখনই এগিয়ে আসার উপযুক্ত সময়।

উল্লেখ্য যে সিত্তুল মুনা চৌধুরী সাতটি বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন তার পরকীয়া প্রেমিক প্রতারক মোস্তফা ১৩টি বিয়ে করেছেন। সাম্প্রতিক এ দুই প্রতারকের ব্যবসা করছেন পুঁজি বিহীন।

প্রথমে ফেসবুকে পরিচয় পরে আর্থিক খোঁজ খবর নিয়ে সখ্যতা।পরে শারীরিক সম্পর্ক করে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন। একপর্যায়ে গোপনে নগ্ন ভিডিও প্রকাশ করার ভয়ভীতি দেখিয়ে সব কিছু হাতিয়ে নেয়। মানসম্মানের ভয়ে অনেকেই মুখ বুঝে সহ্য করে। আবার অনেকে শাস্তি দিতে আইনের আশ্রয় নেয়।এ পুরুষ লোভী চরিত্রহীন লম্পট নারীর পৃষ্ঠপোষকসহ সবাই কে আইনের আওতায় আনা উচিত। অন্যথায় অনেক পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন হবে এ প্রতারক চক্রের মাধ্যমে।

এ বিষয় ফরিদুল আলম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি গণমাধ্যম কে বলেন, মোস্তফা সরদার একজন টোকাই মুনার বাসায় খদ্দের আনা নেওয়ার কাজ করে আবার স্বামী পরিচয় দিয়ে এক বাসায় থাকে। তাদের ব্যবসা হচ্ছে ব্লাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। তাদের প্রতারণাই হচ্ছে মূল পুঁজি। কোন আইনি ঝামেলা মেটাতে যেকোন ব্যক্তি কে বিছানা সঙ্গী করে মিমাংসা করে।তার টাকা পয়সার প্রয়োজন হয়না।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *