নিজস্ব প্রতিবেদক : খাদ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়। আর এই মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট হচ্ছে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিট (এফপিএমইউ)। আর এই এফপিএমইউ এর সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী কর্মকর্তা সাবেক আওয়ামী-ফ্যাসিস্ট এফপিএমইউ-এর গবেষণা কর্মকর্তা (খাদ্যের জৈবিক ব্যবহার ও পুষ্টি শাখা) ড. ফাতেমা তুজ-যাহরা।

অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর কর্মকর্তার এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে তিনি বড়। ছোট ভাই এখনও পড়াশোনা করছেন। তাঁর স্বামী ড. মুশতাক আহমেদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক। তাঁর ভাসুর সিলেটের প্রাক্তন জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবুর রহমান। এই আওয়ামী-ফ্যাসিস্ট কর্মকর্তা চাকুরীতে যোগদানের পর থেকেই স্বামী ভাসুরসহ শ্বশুরবাড়ীর বড় বড় দাপুটে আওয়ামী-ফ্যাসিস্ট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এফপিএমইউ-তে নিরষ্কুশ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন।
সহকর্মীদেরকে কথায় কথায় ছোট করেন এবং গীবতকে তিনি নিয়ে গেছেন মোটামুটি শিল্পের পর্যায়ে। তিনি সবসময় এফপিএমইউ-এর ডিজির লোক হিসেবেই বিবেচিত হয়ে আসছেন। কনিষ্ঠ কর্মকর্তা হওয়া সত্বেও যেখানে সিনিয়র কর্মকর্তারা এক রুমে ২/৩ জন বসেন, সেখানে তিনি বর্তমানে ডিজির আশীর্বাদে আলাদা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে অফিস করেন এবং প্রতিটি ফাইল থেকে গুনে গুনে অবৈধভাবে টাকা আদায় করেন।

অফিসের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে তিনি যখন তখন অফিস সময়ে চলে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল অথবা টিএসসি-তে। তখন তাঁর সাথে থাকে এক গাঁদা যুবক কর্মকর্তা ও বাহিরের লোক। আড্ডায় পারদর্শী এই কর্মকর্তার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তাঁর সৌন্দর্য্য। যার মাধ্যমেই তিনি অফিসের উর্ধ্বতন সকল কর্মকর্তাকে নিজের বগলদাবা করে রাখেন। ক্ষমতার দাপটে তিনি নিজের সহকর্মীদেরও অনেক সময় বহিরাগত লোক দিয়ে হুমকি প্রদান করেন।

চাকুরীতে যোগদানের পর থেকেই তিনি চাকুরি করছেন সবচেয়ে ভাল ভাল ডেস্কগুলোতে। নিজের স্বামীর অবাধ্য এই কর্মকর্তা তাঁর পরিবার-পরিজনের কথাও শুনেন না বলে অভিযোগ আছে। তিনি একাধিকবার তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন নিজের দাপট স্পষ্ট করার জন্য। পরকীয়া প্রেমকে এই নারী কর্মকর্তা দিয়েছেন শিল্পের মর্যাদা।
বিবাহিত জীবন শুরুর প্রথম দিকে প্রশাসন ক্যাডারের সাবেক এক এডিসির সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে নিজের অফিসেরসমন্বয় করতে গিয়ে ফুড ও নিউট্রিশন বিভাগের একজন ডক্টরেট করা কর্মকর্তার সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হন। এছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সাবেক সিনিয়র সচিবের সাথে তাঁর পরকীয়া প্রেম তাঁর অফিসের সকলের মুখে মুখে।
তাঁর স্বামী বার বার তাঁকে এসমস্ত কার্যকলাপ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে আসলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই তিনি আবারো জড়িয়ে পড়েন কোনো না কোনো কর্মকর্তার সাথে পরকীয়া প্রেমে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সাবেক উপ-সচিবের সফর সঙ্গী হয়ে চীনে পনেরো দিন প্রশিক্ষণে তাঁর কার্যকলাপে প্রশিক্ষণে যাওয়া অন্য সব কর্মকর্তারা বিব্রত হয়েছেন।
তিনি একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করছেন এফপিএমইউ‘তে। নিজের জুনিয়র সহকর্মী মোঃ মাসুদ রানা ও হিল্লোল ভৌমিকের সাথে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে রয়েছে অনেক মুখরোচক গল্প। অফিসের এক নারী সহকর্মীর নামে তিনি বছরের পর বছর ধরে কুৎসা রটাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করছেন উনারই এক সিনিয়র নারী সহকর্মী।
উনার উল্লেখযোগ্য আরেকটি বিষয় হচ্ছে যার সাথেই সম্পর্কে জড়ান, তাঁর থেকেই আদায় করে নেন নানাবিধ দামী দামী উপহার। এই কর্মকর্তার অতীতের বিদেশ সফর ও বাংলাদেশের কক্সবাজার, পাবনা, সাতক্ষীরাসহ অন্যান্য জায়গার ডাটা কালেকশনের ট্যুরগুলো যাচাই করলেই এ সমস্ত বিষয় সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ইতোপূর্বে তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. নাজমুনারা খানম-এর দাপট দেখিয়ে অনেক কর্মকর্তাকে মানসিক হেনস্থার শিকার করেছেন। এমনকি অনেক নিরীহ কর্মকর্তাকে তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অন্যত্রে বদলী করে দিয়েছেন এই সচিবের মাধ্যমে। মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত এই নারী কর্মকর্তার অসুস্থ আচরণে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও এফপিএমইউ-এর অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন।
এফপিএমইউ-এর অন্যান্য কর্মকর্তারা এই ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এই বিকারগ্রস্ত নারী কর্মকর্তার জরুরি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এবিষয়ে ফাতেমা তুজ যাহরার বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। যে কারণে তার বক্তব্য প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি