নিজস্ব প্রতিবেদক : বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার এর সভাপতিত্বে ৩ মাসের বাড়ী ও দোকান ভাড়া মওকুফের দাবিতে সকাল ১০.৩০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট পালিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জান্নাত ফাতেমা, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা, কেন্দ্রীয় নেতা মো. মাকসুদুর রহমান, ফয়সাল ইবনে কবির, শামীম, দেলোয়ার।
সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি ঢাকা মহানগরের সভাপতি আবুল হোসাইন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. সোলায়মান নোমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল হক (বরিশাল)।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্বে আজ করোনার মহামারি অবস্থা চলছে। তেমনি এক অবস্থাতে বাংলাদেশের ভাড়াটিয়া জনগণ এক দূর্বিসহ জীবন যাপন করছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও ট্যাক্স আদায় বন্ধ রেখেছে। বাড়ীর মালিকরা ভাড়াটিয়াদের বাড়ী ও দোকান ভাড়ার জন্য চাপ দিয়ে নানা হয়রানী করছে এবং বাড়ী ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। যা কেবলমাত্র অমানবিক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করার সামিল। ইতিমধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সিলেট মেয়র আরিফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেয়র নাসির উদ্দিন, চট্টগ্রামের ডিসি, নারায়নগঞ্জের এমপি শামীম ওসমান এমনকি দেশের খ্যাতিমান বিভিন্ন ব্যাক্তি বাড়ীওয়ালাদের বাড়ী ভাড়া না নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন আমরা তাদেরকে স্বাগত জানাই। উল্লেখ্য থাকে যে, গত ২৭ শে এপ্রিল ২০২০ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
বাহারানে সুলতান বাহার আরো বলেন, করোনার কারণে লকডাউন হওয়ায় তারা কোন কাজকর্ম করতে পারছে না, বাহিরে কোথাও যেতে পারছে না, এ অবস্থায় রাজধানীসহ সারাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। যে শ্রমিকরা কাজ করতেন তাদের মধ্যে আর্টশিল্প, গার্মেন্টস শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, দোকান কর্মচারী, সাংবাদিকসহ নানা পেশায় কর্মজীবী মানুষ তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তারই মধ্যে দেখা দিয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি। একদিকে করোনা ভাইরাসে আতঙ্ক অন্যদিকে অর্থাভাব। সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে জনগণকে রেহাই দেওয়ার জন্যে এপ্রিল, মে ও জুন মাসের ভাড়াসহ বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও ট্যাক্স মওকুফ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশের জোর দাবি করছি।