উপ-নির্বাচন
আহমেদ হৃদয় : আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে পাবনা-৪, ঢাকা-৫ এবং নওগাঁ-৬ আসনের উপ-নির্বাচন। এদিকে ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপ-নির্বাচনের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, সেপ্টম্বরের ২৬ তারিখে পাবনা-৪ আসনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে অক্টোবরের ১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের ভোট। এছাড়া অন্যান্য নির্বাচনের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। ইতোমধ্যে তিনটি আসনের উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে কমিশন। খুব শীঘ্রই অন্যান্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। তবে করোনার কারণে ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচন আরও ৯০ দিন পিছিয়ে দিলেও তার আগেই এই আসনের নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি সেরে রাখবে কমিশন। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচন যদিও আগে থেকেই ৯০ দিন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে, তবুও এই আসনের নির্বাচনও ৯০ দিন শেষ হওয়ার আগেই সম্পন্ন করতে চায় ইসি।
এ বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, রোববার নির্বাচন কমিশনের সভার সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী অক্টোবর মাস থেকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শুরু করা হবে। অন্যদিকে আগামী নভেম্বর মাস থেকে জাতীয় সংসদের শূন্য আসনগুলোর নির্বাচন শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, সভায় তিনটি আসনের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই আমরা অন্যান্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবো। আর এর জন্য আমাদের প্রস্তুতির কোনো কমতি নেই। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার সব ধরনের প্রস্তুতিই আমরা নিচ্ছি। তবে আমরা আগেই বলেছি যে, নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ধরনের জনসমাগম করা যাবে না। কোনো প্রার্থী কিংবা তার পক্ষের লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে পারবে না। করোনার জন্য খুব সতকর্তার সঙ্গেই আমরা নির্বাচন সম্পন্ন করবো।
তিনি আরো বলেন, এদিকে চট্টগ্রাম সিটির প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই নির্বাচিত নতুন মেয়র দায়িত্ব নিতে পারেন।
এদিকে দেশের চার হাজারেরও বেশি ইউনিয়ন পরিষদ ও আড়াই শতাধিক পৌরসভার উপ-নির্বাচন ও সাধারণ নির্বাচনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ডিসেম্বর ও আগামী বছরের মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর শূণ্য হওয়া আসনের পৌরসভার উপ-নির্বাচনগুলোও চলতি বছরের অক্টোবর থেকে শুরু করতে পারে কমিশন।
এবার ইউপি নির্বাচন গতবারের মতো বিভাগওয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। করোনার কারণে স্থানীয় সরকারের স্থগিত ১১৫টি নির্বাচন বিভিন্ন কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ায় নির্বাচন উপযোগী ১৮৭টি জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন চলতি বছরের আগামী অক্টোবর থেকেই শুরু হবে।
তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, মহামারী করোনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।