প্রসঙ্গ : ই-নামজারি

জাতীয়

আজকের দেশ রিপোর্ট : ভূমির নামজারীর ক্ষেত্রে জনসাধারণের হয়রানি লাঘবে দ্রুত এবং সহজে নামজারী কার্য্ক্রম সম্পন্ন করতে ঘরে বসেই অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে ই-নামজারির সিস্টেম চালু করেছে। কিন্তু কোন সুষ্পষ্ট নির্দেশনা নেই। জনগণকে অনলাইনে ই-নামজারি সিস্টেমে যথাযথ সেবা দিতে নিম্নোক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।
ই-নামজারির আবেদনে প্রকৃত আবেদনকারীর বহুল ব্যবহৃত সচল মোবাইল নম্বর প্রদান আবশ্যক। আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর না দেয়া আবেদন গ্রহণ সম্পন্ন হয় না। কারন, আবেদনে বর্ণিত মোবাইলের মাধ্যমে আবেদনকারী জানতে পারবেন; তার আবেদন কোন পর্যায়ে আছে। কিন্তু প্রায়ই লক্ষ করা যাচ্ছে যে, একই মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ই-নামজারীর আবেদন করা হচ্ছে। যার একটির সাথে অপরটির আবেদনকারীগণের মধ্যে ব্যক্তি, স্থানকাল পাত্র/ক্ষেত্র বিশেষে কোনভাবেই সম্পর্ক নেই। আমার অভিজ্ঞতাতে দেখেছি, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সংঘবদ্ধ সক্রিয় পেশাদার প্রতিনিধি তথা মধ্যস্বত্বভোগী একই ব্যক্তি প্রকৃত আবেদনকারীর ব্যবহৃত সচল মোবাইল নম্বর ব্যবহার না করে তার নিজের কিংবা ব্যবহার না হওয়া অচল ভূয়া মোবাইল নম্বর ব্যবহার করছে। তাতে প্রকৃত ভূমির মালিক অন্দকারেই থেকে যাচ্ছে। ফলে ই-নামজারীর মাধ্যমে সরকারের মূল উদ্দেশ্যই ব্যহত হচ্ছে। ভবিষ্যতে ভূমির মালিকের মোবাইল নম্বর ট্রেকিং করে উক্ত ভুমি সংক্রান্ত কোন সমস্যা বা তথ্যাদি অবহিত করার জন্য ভূমির মালিককে আর খুজে পাওয়া যাবে না। ফলে ভূমির প্রকৃত মালিকগণ অপূরণীয় ক্ষতির মধ্য্যে নিমজ্জিত। এ ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশনা আবশ্যক। কেননা আমি নিজ উদ্যোগে ২০১২সাল থেকেই ভূমি উপরোল্লিখিত সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ভূমিতে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে ভূমির প্রকৃত মালিক এবং নিযুক্তিয় প্রতিনিধি উভয়ের মোবাইল নম্বর সংশ্লিষ্ট রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে আসছি। তাতে কর্মক্ষেত্রে কিছুটা স্বচ্ছতা ফিরে আসায় যেমনি সুফল পাওয়া যাচ্ছে। তেমনি প্রকৃত ভূমি মালিকগণের নিকট হতে যথেষ্ট সমর্থন পেলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সংঘবদ্ধ সক্রিয় পেশাদার প্রতিনিধি তথা ধ্যস্বত্বভোগীদের দ্বারা নানা প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয়।


বিজ্ঞাপন