আজকের দেশ ডেস্ক : Channel24 টিভিতে পুলিশ সম্পর্কে অসত্য সংবাদ প্রচার। এভাবে অগনিত মিথ্যা সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শত ব্যস্ততায় বেশীরভাগ সময় এসব মিথ্যাচারের জবাব দেয়া সহজ হয়ে ওঠে না পুলিশের পক্ষে।(সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের জবাব)
পুত্রবধুর যৌতুক মামলার আসামী শতবর্ষী বৃদ্ধ এখন হাইকোর্টের বারান্দায়- শিরোনামে চ্যানেল ২৪ টিভি প্রচারিত সংবাদ সংক্রান্তে জেলা পুলিশ লালমনিরহাটের বক্তব্য
গত ০২-১২-২০২০ খ্রিঃ তারিখ চ্যানেল ২৪ টিভিতে লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানায় আদালতের আদেশের (আদালতের দাখিলকৃত সিআর মামলায়) প্রেক্ষিতে রেকর্ডকৃত একটি মামলা সংক্রান্তে সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করা হয়েছে। প্রচারিত সচিত্র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে-
” তার বয়স প্রায় ১০০ এর কাছাকাছি হবে, হাঁটতে পারেন না ঠিকমত কারো সাহায্য ছাড়া, অথচ তিনি একটি যৌতুক মামলার আসামী। পুলিশ কাগজে কলমে তাকে দেখিয়েছে তার বয়স হচ্ছে ৬০, সেই বৃদ্ধ তাজিম উদ্দিন আজকে হাইকোর্টে এসেছিলেন আগাম জামিন নেয়ার জন্যে যাকে ৮ সপ্তাহের জামিনও দিয়েছেন আদলত, সেই সাথে পুরো এ ঘটনা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত । এ সম্পর্কে বিবাদী তাজউদ্দিনের বিজ্ঞ আইনজীবী মোঃ ওমর ফারুক মন্তব্য করেন যে, “সংশ্লিষ্ট থানা এবং পুলিশ অফিসার মামলা রেকর্ডের পূর্বে তদন্ত না করে বয়স্ক একজন লোকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা বেআইনী এবং অসচেতনমূলক কাজ”। এছাড়া সচিত্র প্রতিবেদনটি উক্ত টিভি চ্যানেল তাদের নিজস্ব ফেসবুক আইডি Channel 24 এর https://www.facebook.com/127259134059028/posts/3413160872135488/ এ লিংকে পুত্রবধুর যৌতুক মামলার আসামী শতবর্ষী বৃদ্ধ এখন হাইকোর্টের বারান্দায়’’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছে। উভয় মাধ্যমে প্রচারিত সচিত্র প্রতিবেদনটি লালমনিরহাট জেলা পুলিশের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রতিবেদনে পুলিশের ভূমিকা ও দায় নিয়ে নেতিবাচক উপস্থাপনায় সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা পুলিশের বক্তব্য হচ্ছে চ্যানেল ২৪ টিভির এই প্রতিবেদক কোন রকম অনুসন্ধান না করে বা সঠিক তথ্য না জেনে এবং উক্ত মামলা সংক্রান্তে দলিলপত্র পর্যালোচনা না করে পুলিশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছেন। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে –
গত ১০/০৯/২০২০ তারিখ বাদী মোছাঃ শারমিন আক্তার বিবাদী (১) মোঃ ময়েন উদ্দিন, (২) মোঃ তমেজ উদ্দিন ও (৩) মোছাঃ শিরিনা বেগমদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল লালমনিরহাট এর নিকট একটি নালিশী দরখাস্ত নারী ও শিশু (পিটিশন)-১১৯/২০২০, তাং-১০/০৯/২০২০, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-২০০৩) এর ১১(গ)/৩০ দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত বাদীর অভিযোগ বিচারামলে গ্রহন করে বাদী ও বাদী পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবীর বক্তব্য প্রকাশ্য আদালতে শুনানী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পর্যালোচনা করতঃ নিয়মিত মামলা হিসাবে রুজু করার জন্য অফিসার-ইনচার্জ, কালিগঞ্জ থানা, লালমনিরহাটকে নির্দেশ দেন এবং আদেশ প্রাপ্তীর ০৭(সাত) কার্য দিবসের মধ্যে মামলাটির রেকর্ড সংক্রান্ত তথ্য উক্ত ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করতে নির্দেশ দেন। মামলাটি বিজ্ঞ বিচারক ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল’ লালমনিরহাট হতে গত ০৭/১০/২০২০ তারিখ প্রাপ্ত হয়ে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ প্রাপ্তি সাপেক্ষে লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানার মামলা নং-০৮, তাং-০৭/১০/২০২০ খ্রিঃ, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-২০০৩) এর ১১(গ)/৩০ তৎসহ ৩১৩ পেনাল কোড রুজু করে এসআই (নিঃ)/মোঃ মাহাবুব রহমান এর উপর তদন্তভার অর্পন করা হয়। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
প্রচার মাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশকে নিয়ে নেতিবাচক, অসম্পূর্ণ ও প্রকৃত তথ্যহীন সংবাদ প্রচার করার ফলে পুলিশ সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারনার জন্ম নেয় এবং বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।