নিজস্ব প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে অনেক পরিবারেই গ্রহণ করতে চাইনি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প ফেরত বীরাঙ্গণাদের। এমন পরিস্থিতিতে বীরাঙ্গনাদের পিতা হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একজন মহান পিতা”চলচ্চিত্রটি এখন সেন্সর বোর্ডে ছবিটর
প্রযোজক শেখ শাহ আলম জানান আশাকরি ডিসেম্বর মাসেই ছবিটি মুক্তি পাবো।
পাক বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার বীরাঙ্গণাদের পুনর্বাসনের প্রচেষ্টার নানা কাহিনী উঠে এসেছে একজন মহান পিতা এই চলচ্চিত্রে। এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এসব বীরাঙ্গণাদের বিবাহের আয়োজন করেন। এইসময় বীরাঙ্গনাদের পিতৃপরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানালেন অনেকেই। তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন তাদের পিতার নাম হবে শেখ মুজিবুর রহমান এবং ঠিকানা হবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর।
ছবিটির কাহিনী,চিত্রনাট্য,সংলাপ ও পরিচালনায় মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, জাতির পিতা ইতিহাসের মহা নায়ক তাকে নিয়ে অনেক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা সম্ভব।তাকে আমাদের ক্ষুদ্র এই প্রয়াস।
আমি এর আগে অনেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক টেলিভিশন নাটক,চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি।
আমি কৃতজ্ঞতা জানাই দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শেখ শাহ আলমকে এই চলচ্চিত্রের প্রযোজনা করার জন্য।
ছবিটির মূল চরিত্রে অভিনয় করেন মির্জা আফরিন ও হিমেল রাজ। অন্যান্য কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন, শেখ শাহ আলম, আলভী সরকার, সৃষ্টি মির্জা, সিফাত বন্যা, শ্যামল কান্তি নাগ, রাশেদুল ইসলাম রাজিব, রেশাদ রাকিব, রাশেদ রেহমান, সিদ্দিকুর রহমান, সাগরিকা মন্ডল, জয়, সাজু আহমেদ, শেখ রজনী, শিশু শিল্পী রাসেল ও লামিয়াসহ অনেকেই।
একজন মহান পিতা চলচ্চিত্রের প্রযোজক শেখ শাহ আলম বলেন, এই চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হলেই নতুন প্রজন্ম ১৯৭১ সালের পাক বাহিনীর নির্মম নির্যাতন ও বর্বরতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত নয়। এমন সকলেই বঙ্গবন্ধু একজন মহান পিতা ও বঙ্গমাতার মহাত্মা সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিত্তিক একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে এবং অভিনয় করতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত ও আনন্দিত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে ছবিটি দেখার আহ্বান জানান তিনি।
ছবিটি নির্মিত হয়েছে বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটে নিবেদনে ও আলম মাল্টিমিডিয়া ব্যানারে।