নিজস্ব প্রতিনিধি : ফেসবুক-ইউটিউব-টেলিভিশনে ভিডিও বা লাইভ সম্প্রচারে সমস্যা নেই, তবে স্থির ছবিতে সমস্যা আছে বলে প্রথমে মন্তব্য করেছিলেন হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী। এর একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন তিনি। তবে পরেরদিন তিনি অন্য কথা বলেন। জার্মান রেডিও ডয়চে ভেলেকে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ‘ছবি ও ভিডিও কোনোটাইকেই সমর্থন করে না ইসলাম। যেসব মওলানা ভিডিও অনুষ্ঠার করে তাদেরও আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।’
প্রথম দিন তথা ১৫ ডিসেম্বর সাংবাদিক হারুন অর রশীদের সঙ্গে একটি ফেসবুক লাইভ ইন্টারভিউতে অংশ নেন হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী। সেসময় তিনি বলেন, ‘ভিডিও এবং লাইভ প্রোগ্রাম সচল, এগুলো স্থির না, প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো ইসলামে জায়েজ। এটা সরাসরি সম্প্রচার। এটা কেউ চাইলে দেখবে, না চাইলে দেখবে না। এটাতে সমস্যা নেই। কিন্তু ছবি একটা স্থির জিনিস। এ বিষয়ে শরিয়তে নির্দেশনা আছে। ছবি, ভাস্কর্য এসব শরিয়ত সমর্থন করে না। তবে অস্থির-ছবির (ভিডিও) সঙ্গে ভাস্কর্যের কোনো সম্পর্ক নেই।’
প্রয়োজনীয়তার সংজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে অল্প সময়ে বোঝানো সম্ভব নয় এবং আরও গবেষণা দরকার। ছবি, ভিডিও, লাইভ প্রোগ্রাম শরিয়ত সমর্থন করে কিনা সেটা আপনারা ইন্টারনেটে সার্চ করবেন, তাহলেই সব বিষয়ে ফতোয়া পাবেন। ফতোয়ার বই কিনে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সব নির্দশনা দেওয়া আছে।’
তবে এর পরের দিন তথা ১৬ ডিসেম্বরই তিনি আবার অন্য কথা বলেছেন। এবার ছবির পাশাপাশি ভিডিওকেও হারাম বলে মত দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী। জার্মান রেডিও ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছন, ‘ছবি তোলা, ভিডিও করা ইসলাম সমর্থন করে না। তবে বিশেষ প্রয়োজনে ছবি তোলাকে অনুমোদন দিয়েছেন ওলামায়ে একরাম। বিশেষ প্রয়োজনটা হলো পাসপোর্ট করা। তবে বিশেষ প্রয়োজনের মধ্যে ইউটিউবে বা ফেসবুকে সম্প্রচারিত ভিডিও বক্তব্য শরিয়ত সমর্থন করে না।’ এমনকি টেলিভিশনে মওলানাদের কথা বলার কারণেও আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
অনলাইন ওয়াজ-মাহফিল ও ধর্মীয় বয়ানের সম্প্রচার ইসলাম সমর্থন করে কিনা সে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে আমরা লাইভ করি না। সবাই করে না। সব ওলামা করে না। যারা বিশেষজ্ঞ, ইসলামের বিশেষ স্কলার, এরকম ওলামা-একরামের কোনো লাইভ ফেসবুকে আপনারা দেখবেন না।’
আরও এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভাস্কর্য যেমন শরিয়ত সমর্থন করে না। তেমনি টেলিভিশনে মাওলানাদের বক্তব্য সম্প্রচারও শরিয়ত সমর্থন করে না। ফেসবুকে ওয়াজ শোনা, টেলিভিশনে বয়ান শোনাও শরিয়ত সমর্থন করে না।’