ইসমাইল হোসেন ঈমু : শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালার দুর্নীতির তদন্তে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে।
মহসীন আহমেদ স্বপন দায়েরকৃত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ মে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। পিটিশনারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন।
রিটে উল্লেখ করা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ তলা ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ নিয়ে ৬ তলা পর্যন্ত সম্পন্ন করেই সমুদয় বিল (অন্তত ৭ কোটি টাকা) তুলে নেয় প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা নিয়োগকৃত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘দ্য বিল্ডার্স’। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির সংঙ্গে ১৫ তলা পর্যন্ত সম্প্রসারণের চুক্তি সম্পাদিত হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৪৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
এক্ষেত্রে মোজাইকসহ প্রতি তলার ব্যয় ধরা হয় ৫ কোটি ২ লাখ টাকা। ২০০৬ সালে ভবনটি ৬ তলা করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ২০১৫ সালে ১৫ তলা পর্যন্ত কাজ শুরু হয়। ২বছর কাজ চলার পর হঠাৎ করেই প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা ‘ভবনের ভিত্তি দুর্বল’ মর্মে অজুহাত তুলে ১২ তলা পর্যন্ত ভবনটি উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণের মতামত দেন। যদিও ভবনটির ভিত্তি দেয়া হয়েছে ২০ তলার।
প্রধান প্রকৌশলী ১২ তলার মতামতে সংশোধিত ব্যয় ধরেন ৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। মূল দরপত্রে মোজাইকের কথা উল্লেখ থাকলেও দেয়া হয় টাইলস। প্রথম দরপত্রে মোজাইকসহ প্রতিতলার ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ কোটি ২ লাখ টাকা। সে হিসেবে ৬ তলার জন্য ব্যয় হওয়ার কথা ৩০ কোটি ১২ লাখ টাকা। কিন্তু প্রধান প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপে দর নির্ধারিত হয় ৭ কোটি টাকার বেশি, ৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ে দফাদফায় চিঠি দিয়ে আপত্তির কথা জানান প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। তা সত্ত্বেও সরকার কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় এ রিট করা হয়। রুলে আদালত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ভবনের উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি তদন্তে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। রিটে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘দ্য বিল্ডার্স’র মালিক, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকল্প পরিচালক, প্রধান প্রকৌশলী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৭জনকে বিবাদী করা হয়েছে।