নিজস্ব প্রতিবেদক : আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম এবং দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা আমলে নিয়ে গঠিত ৫ সদস্যের কমিটি কাজ করবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখাপাত্র। অর্থনীতিবিদরা, আর্থিক অনিয়মের বিস্তারিত তদন্তে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে স্বাধীন ও শক্তিশালী কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন।
পি কে হালদার সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করে পথে বসিয়েছেন, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস লিজিং, এফএএস ফাইন্যান্স ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির গ্রাহকদের। গত মাসে দুদক গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিলে ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি রাশেদুল হক জানান অনিয়ম চাপা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের মোটা অংকের ঘুষ দেয়া হতো।
এর প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে সরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও আরেক অভিযুক্ত সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আদালত ভবিষ্যতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমন অনিয়ম রুখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিলে সম্প্রতি পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খানকে প্রধান করে গঠিত কমিটি অন্য সদস্যরা হলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম ফজলুর রহমান, মহাব্যবস্থাপক কবির আহমেদ ও নুরুল আমিন। সদস্যসচিব করা হয়েছে উপমহাব্যবস্থাপক সারোয়ার হোসেনকে।
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর, ’ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।’
দেশের ৩৫ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১০টির অবস্থাই রুগ্ন। ঋণ জালিয়াতি ও খেলাপীর কারণে গ্রাহকদের নিয়মিত টাকা দিতে পারছেনা এই প্রতিষ্ঠানগুলো।